প্রসূন চক্রবর্তী, বাঁকুড়া: তীব্র দাবদাহ হাঁসফাঁস করছে প্রাণ (Heat Wave)। তাতে একটু স্বস্তির ইঙ্গিত মিলেছিল। কিন্তু মুহূর্তের কালবৈশাখী (Kalbaishakhi) ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে গেল চারিদিক।  তবে বড় কোনও অঘটন ঘটেনি। বিয়েবাড়ির প্যান্ডেল লন্ডভন্ড হয়ে গেল একদিকে। আবার অন্য দিকে, কোথাও উড়ল স্কুলের চাল। 


কালবৈশাখীর দাপটে ভাঙল প্যান্ডেল, উড়ল চাল


তীব্র গরমের মধ্যে বৃহস্পতিবার আচমকাই আকাশ কালো হয়ে আসে। প্রবল বিক্রমে নেমে আসে কালবৈশাখী। তাতে যখন স্বস্তি পাওয়ার আশায় বুক বাঁধছেন স্থানীয়রা, অল্প ক্ষণের মধ্যেই তা বদলে গেল আশঙ্কা, উদ্বেগে। কারণ ঝোড়ো হাওয়া, কালবৈশাখীর দাপটে কার্যত বিধ্বস্ত ছবি ধরা পড়ে চারিদিকে। 


আরও পড়ুন: Saltlake News: বাড়ি দখলকে কেন্দ্র করে চরমে দু’ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত বেশ কয়েকজন, গ্রেফতার ৫


হাঁসফাঁস করার পরিস্থিতির মধ্যেই এ দিন বাঁকুড়ায় (Bankura News) আচমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে গঙ্গাজলঘাটি থানার ভক্তাবাধ এলাকায়। ধীরে ধীরে শুরু হয় বৃষ্টি এবং শিলাবৃষ্টি (Hailstorm)। গঙ্গাঘাটিতে শিলাবৃষ্টি ব্যাপক আকার ধারণ করে। কিন্তু তার দাপটে অন্য বিপদ নেমে আসে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় এলাকার একটি বিয়েবাড়ির প্যান্ডেল। চাল উড়ে যায় স্থানীয় একটি স্কুলের রান্নাঘরের চাল। তবে মারাত্মক কিছু অঘটন ঘটেনি। তবে হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। 


তীব্র গরমের দাপট রাজ্য জুড়ে


এর আগে, গত সপ্তাহে পড়শি রাজ্য পুরুলিয়ায় তাণ্ডব চালায় কালবৈশাখী।  সে বার ঝড়ের দাপটে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। ভেঙে পড়ে বড় বড় গাছ। বজ্রপাতে মৃত্যু পর্যন্ত হয় এক শিশুর। বেশ কিছু বাড়িও ভেঙে পড়ে বলে জানা জানা যায়।


আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে গত সপ্তাহে পশ্চিমের জেলাগুলিতে অর্থাৎ বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমানে বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছিল। তা খানিকটা ফলতেও দেখা যায়। ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে কোথাও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে। ফলে বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিস্তীর্ণ এলাকার। বলরামপুর স্টেশন এলাকায় ভেঙে পড়ে গাছ। এক নাগাড়ে শিলাবৃৃষ্টিতে বহু কাঁচা বাড়ি ধসে যায়। সেই সময় লালগোলা থানার ফতেপুরে বজ্রপাতে মৃত্যুও হয় দু'জনের। তাঁরা মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন।