শুভেন্দু ভট্টাচার্য, তুহিন অধিকারী, ভাস্কর ঘোষ, কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Recruitment Scam) অভিযুক্ত মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikari) সরকারি পদপ্রাপ্তি। হলদিবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান করা হল পরেশ অধিকারীকে। আর এই নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল।
এ বার নতুন দায়িত্বে পরেশ অধিকারী
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে, তাঁর নাম জড়িয়েছে। দুর্নীতি মামলায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে তিন বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই (CBI)। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষকতার চাকরি গিয়েছে, পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার (Ankita Adhikari)। বেআইনি ভাবে তিনি চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। বেতন পর্যন্ত ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সেই আবহেই মেয়ের চাকরি যাওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে নতুন সরকারি পদ পেলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। নিজের বিধানসভার অন্তর্গত, হলদিবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান করা হল পরেশ অধিকারীকে।
আগে থেকেই পরেশ মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানে পদে রয়েছেন। এই নিয়ে দু’টি সরকারি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হলেন মেখলিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক।
সেই নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করছে বিরোধীরা। রাজ্য বিজেপি-র সহ সভআপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, "পরেশ অধিকারীর মেয়ের চাকরি চলে গেল, পয়সা তুলে দেওয়ার জন্য হাসপাতালের চেয়ারম্যান করেছে। এটাই তৃণমূল, চুরি করো। মমতাদি চোরদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন।"
বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে রাজ্য়
সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, "এই সরকার আপাদমস্তক দুর্নীতিবাজ স্বৈরাচারী, এদের হটাতে হবে জেলে ঢুকবে বের হবে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে বসবে সার্কাস এটা, যা ইচ্ছে তাই করছে।" সব মিলিয়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর সরকারি পদ পাওয়া ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।