অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: শৌচকর্ম সারতে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু হাতির মুখে পড়ে প্রাণ গেল এক মহিলার। আহত হয়েছেন তাঁর স্বামী এবং দুই শিশু-সন্তানও। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁরা বাড়ি ফিরলেও, ফেরা হয়নি ওই গৃহবধূর (Housewife Death)। ঘটনাস্থলেই বেঘোরে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। বন দফতরের তরফে পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে (Alipurduar Elephant Attack)।
হাতির হামলায় মৃত্যু গৃহবধূর
আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar News) ফালাকাটা ব্লকের অন্তর্গত দলগাও বনবস্তির মুন্সি লাইনের ঘটনা। পুুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ভোর রাতে শৌচকর্ম সারতে বাইরে বেরিয়েছিলেন বছর ২৪-এর গৃহবধূ মহসিনা খাতুন। সঙ্গে ছিল ৬ বছরের মেয়ে মর্জিনা খাতুন এবং তিন বছরের ছেলে। বাড়ির পা রাখতেই দলে থাকা একটি হাতির মুখে যান। দুই সন্তানের মধ্যে থেকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে তুলে নেয়। তার পর লাথি মেরে ছুড়ে ফেলে পাশের ডোবার জলে।
আরও পড়ুন: Kolkata Hospital : মল্লিকবাজারের হাসপাতালের ৮ তলার কার্নিসে রোগী, চত্বর জুড়ে চাঞ্চল্য
চিৎকার চেঁচামেচিতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন মহসিনার স্বামী সহিদুল। দুই শিশুও মাকে বাঁচাতে ছুটে যায়। হাতির মুখে পড়েন সহিদুল এবং ওই দুই শিশুও। ওই তিনজনের উপর হামলা চালায় হাতিটি। তবে ততটা ক্ষতি হয়নি। হাতির দল সেখান থেকে চলে গেলে মহসিনার দেহ উদ্ধার করা হয় ডোবা থেকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ভোর রাতে ১৪-১৫ জনের একটি হাতির দল তাণ্ডব চালায় এলাকায়। বেশ কয়েক ঘণ্টা ঘরে চলে উৎপাত। তাতে এলাকার চারটি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধানের জমি।
বন দফতর থেকে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস
এই ঘটনায় জলদাপাড়ার এডিএফও নবজিৎ দে-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এলাকায় ভুট্টাক্ষেতের কারণেই হাতির উপদ্রব বেড়েছে। তবে বন দফতরের টহলদারি দলের তরফে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি, মৃতের পরিবারকে বনদপ্তরের নিয়মানুসারে আর্থিক ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে বলে জানান তিনি (Forest Department)।