অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: অরিজিৎ সিং-এর কনসার্ট নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। 'গেরুয়া' গানের প্রসঙ্গ টেনে ইতিমধ্যেই তাতে রাজনীতির রঙ দিয়েছে বিজেপি। তবে কনসার্টের অনুমতি প্রসঙ্গে অন্য কথাই বলছিল তৃণমূল। তবে এবার ভিন্ন ভিন্ন সুর শোনা গেল তৃণমূলের অন্দরেই। নিরাপত্তার কারণে ইকো পার্কে অরিজিৎ সিং-এর কনসার্টের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ। কিন্তু হিডকোর চেয়ারম্যান, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দাবি করলেন, ওই অনুষ্ঠানের জন্য কখনই অনুমতি দেওয়া হয়নি।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কথায়, 'যে দুটি ডেটে হচ্ছে, তাতে বাড়তি নিরাপত্তা সম্ভব ছিল না। ফলে শুধু অরিজিৎ সিং নয়, সলমন খানের অনুষ্ঠানটাও ইকো পার্কে বাতিল করা হয়'। অন্যদিকে ফিরহাদ হাকিম বলছেন, এটা কে বলেছে আমি জানি না? আমরা কোন পারমিশন দেইনি। এটা আমি বলে দিচ্ছি, হিডকো থেকে কোনও পারমিশন আমরা দেইনি। হিডকোর থেকে পারমিশন দিলে আমি চেয়ারম্যান, আমার সই লাগে'।
ইকো পার্কে অরিজিৎ সিংয়ের কনসার্টের অনুমতি-বিতর্কে। এবার তৃণমূলের অন্দরেই কার্যত ভিন্নসুর। হিডকো-র অধীনে রয়েছে ইকোপার্ক। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে কোনও অনুষ্ঠান করতে গেলে, হিডকোর থেকে অনুমতি নিতে হয়।
কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন, অনুষ্ঠান বাতিলের কথা জানিয়ে, ৮ ডিসেম্বরই আয়োজকদের অগ্রিম টাকা ফেরত দেওয়া হয়। কিন্তু, এ প্রসঙ্গে কার্যত অন্য় সুর শোনা গেল খোদ হিডকোর চেয়ারম্য়ান ফিরহাদ হাকিমের মুখে। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ আরও বলছেন, ৮ তারিখ ৫ লক্ষ টাকা ফেরত পান, অরিজিৎ সিং-এর আয়োজকরা। এবং ৯ তারিখে অ্যাকোয়াটিকায় ১ লক্ষ টাকা দেন। ৮ তারিখ তো টাকা ফেরত হয়েছে, মানে না-এর ব্যাপারটা তার আগে হয়ে গেছে।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কে ঠিক? আর কে ভুল? কুণাল ঘোষ না ফিরহাদ হাকিম? এর আগে নিয়োগ-দুর্নীতি কার আমলে হয়েছে, সেই প্রসঙ্গেও কার্যত আড়াআড়ি বিভাজন দেখা গেছিল কুণাল ও ফিরহাদের মধ্য়ে। কুণাল ঘোষ আরও বলছেন, যে ধরনের কেলেঙ্কারির অভিযোগ আসছে ওগুলো ব্রাত্য বসুর জমানায় হয়নি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। তিনিই দলের মহাসচিব। যাবতীয় ব্যাখ্যা তিনিই দিতে পারবেন।
ফিরহাদ হাকিম আরও বলছেন, ক্যাবিনেটের সদস্য কুণাল নয়। পার্থদার ক্যাবিনেটে আমিও মন্ত্রী। যদি কোনও জায়গায় হয়, তাহলে যতটা দায়িত্ব পার্থদার, ততটা আমারও। এবার অরিজিৎ সিংয়ের কনসার্টের অনুমতি বিতর্কে ফের সামনে এল কুণাল-ফিরহাদের ভিন্নমত।