হিন্দোল দে, কলকাতা: রাতের কলকাতায় মত্ত যুবকদের হাতে আক্রান্ত ট্রাফিক সার্জেন্ট ও এএসআই। বাইপাসের অজয়নগর মোড়ে নাকা চেকিংয়ের সময় হেলমেটবিহীন বাইক আটকে জরিমানা করায় দলবল নিয়ে হামলার অভিযোগ উঠল। মারধরে জখম হলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট ও সার্ভে পার্ক থানার এএসআই। গোটা ঘটনায় ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। সেখানে দেখা যাচ্ছে পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি করছে এক দল যুবক।  


'আক্রান্ত' পুলিশ:
রাতের কলকাতায় হেলমেটবিহীন বাইকের দৌরাত্ম্যর অভিযোগ উঠেছে বারবার। এবারও বাইক আটকে জরিমানা করায় মত্ত যুবকদের হাতে আক্রান্ত হতে হল ট্রাফিক সার্জেন্ট ও এএসআইকে। ঘটনাস্থল সার্ভে পার্ক থানার অন্তর্গত অজয়নগর মোড় এলাকায়। 


বর্ষবরণের আগে মত্ত যুবকদের হাতে আক্রান্ত হতে হল পুলিশকে। পূর্ব যাদবপুর ট্রাফিক গার্ড ও সার্ভে পার্ক থানার পুলিশ যৌথভাবে নাকাতল্লাশির সময় হামলা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে অজয়নগর মোড়ের কাছে নাকা তল্লাশি চালাচ্ছিল পূর্ব যাদবপুর ট্রাফিক গার্ড ও সার্ভে পার্ক থানার পুলিশ। তখনই রাত পৌনে ১০ টা নাগাদ চালক ও আরোহী হেলমেটবিহীন থাকায় সন্তোষপুরের দিক থেকে অজয়নগরগামী একটি বাইক আটকে জরিমানা করা হয়। অভিযোগ, ঘটনার কয়েক মিনিটের মধ্যেই এলাকার কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশের ওপর চড়াও হয় অভিযুক্তরা। বাগ্‍‍বিতণ্ডার পর ট্রাফিক সার্জেন্ট সুমনকল্যাণ ঢাককে বাইক থেকে রাস্তায় ফেলে এলোপাথাড়ি লাথি-ঘুষি মারে বলে অভিযোগ।


এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, কয়েকজন এসে ঝামেলা করছিল। ট্রাফিক সার্জেন্টকে বাঁচাতে এলে আক্রান্ত হন সার্ভে পার্ক থানার ASI-ও। ধস্তাধস্তির সময় হাত কেটে যায় অ্য়াসিস্ট্য়ান্ট সাব ইন্সপেক্টর এস কে পাত্রর। এরপরই ৪ হামলাকারীকে গ্রেফতার করে সার্ভে পার্ক থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন কলকাতা পুরসভার ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের যুব তৃণমূল নেতা আদিত্য সাহা।


তৃণমূলের বক্তব্য:
কলকাতা পুরসভার ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মিন্টু রায় বলেন, 'দোষ করে থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। দল কোনও দায়িত্ব নেবে না।'


ধৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, কর্তব্যরত পুলিশকর্মীকে মারধর-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বড়দিনের আগের রাতে, এই সার্ভে পার্ক থানা এলাকাতেই পানশালার বাইরে থেকে এক যুবককে তুলে নিয়ে গিয়ে গুলি চালনার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতেই ৬ দিনের মাথায় মত্তদের হাতে আক্রান্ত হল পুলিশ। খোদ রক্ষকই আক্রান্ত হওয়ায় রাতের কলকাতার নিরাপত্তা নিয়ে স্বভাবতই উঠছে প্রশ্ন।


আরও পড়ুন: নিয়োগ-দুর্নীতির মধ্যেই এবার ববিতা সরকারের নম্বর-বিতর্ক