নয়া দিল্লি: রামকৃষ্ণদেবের (Ramakrishna Paramahansa) ‘যত মত তত পথ’ বাণী এবং স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) একটি বাণীকে উদ্ধৃত করে অমোঘ লীলা দাসের (Amogh Lila Das) মন্তব্যে নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সোশাল মিডিয়াতেও উঠেছিল বিরুদ্ধ ঝড়। অমোঘ লীলার ওই বক্তব্যের জন্য নিন্দা করে তাঁকে ১ মাসের জন্য নিভৃতবাসে পাঠানোর কথা জানিয়েছিল ইসকনও (Iskcon)। সেই প্রেক্ষাপটে এবার একটি ভিডিও বার্তায় ক্ষমা চাইলেন অমোঘ লীলা দাস। 


কী বলেছেন তিনি? 


ভিডিও বার্তায় অমোঘ লীলা দাস বলেছেন, 'এই ভিডিওটি ক্ষমা চাওয়ার জন্য। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব এবং স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে আমার করা সাম্প্রতিক মন্তব্যে যাঁদের খারাপ লেগেছে, তাঁদের  উদ্দেশে আমি ক্ষমা চাইছি। আমার বাণীতে যাঁদের আঘাত লেগেছে আমি অত্যন্ত দুঃখিত। আমি মন থেকে কখনই চাইনি এটা। আমাকে কেউ একজন প্রশ্ন করেছিলেন, সেই প্রেক্ষিতেই আমি এমনটাই বলে ফেলেছি। উপস্থিত যারা ছিলেন, তাঁদের এই মন্তব্য খারাপ লেগেছে। আমি মন থেকে ক্ষমা চাইছি। ভবিষ্যতে যাতে আমার কোনও মন্তব্যে এমনটা না হয়, সেই বিষয়টি আমি নিশ্চিত করব।' 


অমোঘ লীলার কোন মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল? 


অমোঘ লীলা বলেছিলেন, স্বামী বিবেকানন্দ যদি মাছ খান, তাহলে তিনি কী করে একজন সিদ্ধপুরুষ? ইসকনের তরফে এই মন্তব্যের সমালোচনা করে বলা হয়েছে তাঁর এই মন্তব্য শুধুমাত্র অসম্মানজনক নয় বরং আধ্যাত্মিক পথ এবং ব্যক্তিগত পছন্দের বৈচিত্র্য সম্পর্কে সচেতনতার অভাবেরও নিদর্শন। এই কাজগুলি পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ধর্মীয় সহনশীলতা এবং সম্প্রীতির মৌলিক নীতিগুলিকে ক্ষুন্ন করে, যা একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনের জন্য অত্যাবশ্যক।


রামকৃষ্ণের ‘যত মত তত পথ’ বাণীকে উদ্ধৃত করে এমন ব্যাখ্যা দিয়েছেন,  যা নিয়ে বেজায় চটেছিলেন রামকৃষ্ণ ভক্তরা। শ্রীরামকৃষ্ণ যেভাবে মানুষকে ঈশ্বরলাভের বহু পথ সম্পর্কে জ্ঞাত করার চেষ্টা করেছিলেন, তার সমালোচনা করেন অমোঘ লীলা।


ইসকনের নিষেধাজ্ঞা


রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দর মতাদর্শ নিয়ে এই সাধুর তীর্যক মন্তব্যর পর অমোঘ লীলা দাসকে ১ মাস নিষিদ্ধ করে ইসকন। একটি বিবৃতি দিয়ে অমোঘ লীলার বক্তব্যের জন্য নিন্দা করে তাঁকে ১ মাসের জন্য নিভৃতবাসে পাঠানোর কথা জানিয়েছিল তারা। ইসকনের তরফে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলা হয়েছিল-  'আমাদের নজরে এসেছে, ইসকন দ্বারকার আমাদের একজন ব্রহ্মচারী সন্ন্যাসী, শ্রী অমোঘ লীলা দাস ভারতীয় ইতিহাস এবং আধ্যাত্মিকতার দুই শ্রদ্ধেয় সাধক শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস এবং স্বামী বিবেকানন্দর ভাবাদর্শ সম্পর্কে একটি অত্যন্ত অনুপযুক্ত মন্তব্য করেছেন। ইসকন, তাঁর সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত এবং অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য এবং এই দুই ব্যক্তিত্বের মহান শিক্ষা সম্পর্কে তার বোঝার অভাবের জন্য অত্যন্ত দুঃখিত।' 


 


আরও পড়ুন, মেয়ের প্রথম ঋতুস্রাব, বেলুন দিয়ে ঘর সাজিয়ে, কেক কেটে উদযাপন করলেন বাবা