হাওড়া: হাওড়ায় ছাত্রনেতা আনিস খানের (Anis Khan Death) রহস্য মৃত্যুতে পুলিশের ভূমিকাই প্রশ্নের মুখে। তাই রাস্তায় বেরোলেই আঁচ মিলছে বিক্ষোভ, প্রতিবাদের। এমন অবস্থায় আমতা থানার (Amta Police Station) ওসি দেবব্রত চক্রবর্তীকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠানো হল। তাঁর জায়গায় আমতা থানার অফিসার ইনচার্জের দায়িত্বে আসছেন কিঙ্কর মণ্ডল। হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের ওসি-র দায়িত্বে ছিলেন কিঙ্কর মণ্ডল। আগেও আমতা থানায় ওসি-র দায়িত্ব সামলেছেন।


ছুটিতে পাঠানোর আগে বৃহস্পতিবারই ভবানী ভবনে ডেকে পাঠানো হয় দেবব্রতকে। সেখানে দীর্ঘ ক্ষণ জেরা করা হয় তাঁকে। ধৃত হোমগার্ডকে জেরা করে যে তথ্য মিলেছে, তার ভিত্তিতেই তলব করা হয় দেবব্রতকে। মোট দু’দফায় জেরা করা হয় তাঁকে। তাঁর কাছ থেকে বিশদ তথ্য চান পুলিশ কর্তারা। তার পরই তাঁকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়।


আনিস-কণ্ডে ধৃত হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা ও সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্য ইতিমধ্যেই দেবব্রতর অস্বস্তি বাড়িয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের বলির পাঁঠা করা হয়েছে। ওসির নির্দেশে আনিসের বাড়িতে গিয়েছিলেন তাঁরা। ওই দু’জনের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মঞ্জুর করা হয়েছে টিআই প্যারেডের আবেদনও। আনিসের মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করবে সিট। সেটি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্যও পাঠানো হবে। সংরক্ষণ করা হবে ফোনে মজুত তথ্য, যা যাচাই করে দেখবে সিট।


আরও পড়ুন: Anish Murder Case Update: আনিস খুনে ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ


অন্য দিকে, এ দিনই হাইকোর্টের নির্দেশের পর সিটের কাছে বয়ান রেকর্ড করেন আনিসের বাবা সালেম খান। আনিসের বাড়ির পরিবারের সদস্যদেরও বয়ান রেকর্ড করে সিট। পরিবারের দাবি মেনে আনিসের সমাধিস্থলে নিরাপত্তা বসানোর ব্যবস্থা করা হয়। বসানো হয় সিটিটিভি ক্যামেরা।


এ দিন দুপুরে আমতা থানা ঘেরাও অভিযানেও সামিল ছিলেন সালেম। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সেখানে থানায় ঢোকার চেষ্টা করেন শয়ে শয়ে জমা হওয়া বিক্ষোভকারীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়াও হয় বলে অভিযোগ। ছেলের দেহের দ্বিতীয় বার ময়না তদন্তে এ যাবৎ আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন আনিসের পরিবারের লোকজন। কিন্তু হাই কোর্ট দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।


আনিস-শাসকদলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে গোটা ঘটনায় সুবিচার চেয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্র। সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়কের আশ্বাস দেন যে, কেউ দোষ করলে অবশ্যই শাস্তি পাবে।