কলকাতা: আনিস খুনে ধৃত হোমগার্ড ও সিভিক ভলান্টিয়ারের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ। ধৃতদের চিহ্নিতকরণের আবেদন মঞ্জুর করল আদালত। ‘আইন অনুযায়ী ময়নাতদন্ত ও আনিসের মোবাইল ফোন নিয়ে পদক্ষেপ, পদক্ষেপ করতে পারে তদন্তকারী অফিসাররা,’ জানালেন উলুবেড়িয়া আদালতের বিচারক।


উল্লেখ্য, আনিস খানের (Anish Khan) দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)। জেলা জজের পর্যবেক্ষণে ময়নাতদন্তের নির্দেশ। সিটেই আস্থা রাখছে হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সিট ও মামলাকারীদের দ্রুত দিতে হবে। মামলাকারীদের উপস্থিতিতে আনিসের ফোন সিল করবে সিট। তার পর পাঠাতে হবে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য। হায়দরাবাদে (Hydrabad) ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হবে আনিসের ফোন।


আরও পড়ুন: Malda News: গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ ফুটো হয়ে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, আতঙ্ক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে


তার পর ফোনের সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করবে সিএফএসএল। তথ্য বিশ্লেষণ করে দিতে হবে সিট ও মামলাকারীদের এমনই নির্দেশ হাইকোর্টের। উল্লেখ্য, পুলিশের হাতে আনিসের মোবাইল ফোন দেওয়া হলে তার তথ্য বিকৃত করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছিল আনিসের পরিবার। ফলে জেলা জজের উপস্থিতিতেই তথ্য বিশ্লেষণ হবে। ধৃতদের টি আই প্যারেডের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ২ সপ্তাহের মধ্যে সিটকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেওয়া হবে পরিবারকেও।


আরও পড়ুন: WB Corona Cases: রাজ্যে ১ দিনে নতুন করে করোনা সংক্রমিত ২৪৬, মৃত্য ৬ জনের


আনিস-খুনে ধৃতদের আদালত থেকে বের করার সময় উলুবেড়িয়ায় (Uluberia) বিক্ষোভ স্থানীয়রা। ধৃতদের এজলাস থেকে বের করার সময় পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। লুকিয়ে এজলাসে কেন ঢোকানো হল অভিযুক্তদের? প্রশ্ন তুলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ। 


উল্লেখ্য, আনিস-হত্যা তদন্তে আমতা থানার একাধিক অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সে দিন রাতের ডিউটি অফিসার, আরটি অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার, হোমগার্ডকে। সূত্রের খবর, মিলিয়ে দেখা হচ্ছে ধৃত হোমগার্ড ও সিভিক ভলান্টিয়ারের বক্তব্য।