কলকাতা: আনিস খানের (Anish Khan) দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)। জেলা জজের পর্যবেক্ষণে ময়নাতদন্তের নির্দেশ। সিটেই আস্থা রাখছে হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সিট ও মামলাকারীদের দ্রুত দিতে হবে। মামলাকারীদের উপস্থিতিতে আনিসের ফোন সিল করবে সিট। তার পর পাঠাতে হবে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য। হায়দরাবাদে (Hydrabad) ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হবে আনিসের ফোন।


তার পর ফোনের সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করবে সিএফএসএল। তথ্য বিশ্লেষণ করে দিতে হবে সিট ও মামলাকারীদের এমনই নির্দেশ হাইকোর্টের। উল্লেখ্য, পুলিশের হাতে আনিসের মোবাইল ফোন দেওয়া হলে তার তথ্য বিকৃত করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছিল আনিসের পরিবার। ফলে জেলা জজের উপস্থিতিতেই তথ্য বিশ্লেষণ হবে। ধৃতদের টি আই প্যারেডের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ২ সপ্তাহের মধ্যে সিটকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেওয়া হবে পরিবারকেও।


আনিস-খুনে ধৃতদের আদালত থেকে বের করার সময় উলুবেড়িয়ায় (Uluberia) বিক্ষোভ স্থানীয়রা। ধৃতদের এজলাস থেকে বের করার সময় পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। লুকিয়ে এজলাসে কেন ঢোকানো হল অভিযুক্তদের? প্রশ্ন তুলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ। 


উল্লেখ্য, আনিস-হত্যা তদন্তে আমতা থানার একাধিক অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সে দিন রাতের ডিউটি অফিসার, আরটি অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার, হোমগার্ডকে। সূত্রের খবর, মিলিয়ে দেখা হচ্ছে ধৃত হোমগার্ড ও সিভিক ভলান্টিয়ারের বক্তব্য।


আরও পড়ুন: Anish Khan Death: ব্যারিকেড ভেঙে থানায় ঢোকার চেষ্টা, ধস্তাধস্তি পুলিশের সঙ্গে, আনিস-কাণ্ডে ধুন্ধুমার আমতায়


উল্লেখ্য, এদিন দুপুরে বিস্ফোরক দাবি করেন ধৃত হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা ও সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্য। বলেন,  'থানা থেকে ওসি-র নির্দেশে গিয়েছিলাম আনিসের বাড়িতে। আমরা নির্দোষ। আমাদের বলির পাঁঠা করা হয়েছে। আনিসের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে জানি না'। আজ দু’জনকেই পেশ করা হয় উলুবেড়িয়া আদালতে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে বলে খবর ছিল। তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হবে সে রাতে কী ঘটেছিল? কী কারণে, কারা আনিসের বাড়িতে গিয়েছিলেন? ধৃত দু’জনের কাছ থেকে আনিস হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রাথমিকভাবে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।