ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: রুশ আগ্রাসনের জেরে ইউক্রেনের (Russia Ukraine Crisis) কিয়েভে আটকে পড়েছেন বহু ভারতীয় পড়ুয়া। এদের মধ্যে রয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার  (North 24 Parganas) গোবরডাঙার বাসিন্দা স্বাগতা সাধুখাঁ। কিয়েভে এমবিবিএসের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া স্বাগতা। আরেক ভারতীয় কীর্তিসোম চৌধুরী আদতে পাঞ্জাবের বাসিন্দা হলেও তাঁর মায়ের বাড়ি হলদিয়ায়।


এদিন ভোররাতে দুই ডাক্তারি পড়ুয়ার ঘুম ভাঙে বোমার আওয়াজে। জানতে পারেন রুশ হামলার কথা। ইউক্রেনে উড়ান পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আপাতত দেশে ফেরার উপায় নেই। এখনও পর্যন্ত নিরুপদ্রবে রয়েছেন, পরিবারকে জানিয়েছেন দুই ভারতীয়। এক ভিডিও বার্তায় স্বাগতা সাধুখাঁ জানিয়েছেন, জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার পর শোনা গিয়েছিল আজ থেকে বোমাবাজি, বিস্ফোরণ হবে। ইতিমধ্যেই সেটা হয়েছে। কিয়েভ বিমানবন্দরে ভাঙাচোরা অবস্থায়। বিমান পরিষেবা বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে সবাই উপদেশ দিচ্ছেন, যে যেখানে আছে সেখানে থাকার। 


রাষ্ট্রপুঞ্জের হুঁশিয়ারি অগ্রাহ্য করে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল রাশিয়া। পূর্ব ইউরোপের ক্রিমিয়া দিয়ে ইউক্রেনে ঢুকল রুশ সেনা। রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ-সহ একাধিক শহরে শোনা যাচ্ছে পরের পর বিস্ফোরণের শব্দ। ইউক্রেনের দাবি, ৫টি রুশ সেনাবিমান ও একটি হেলিকপ্টার গুলি করে নামানো হয়েছে। রাশিয়ার পাল্টা দাবি, ইউক্রেনের বিমান ঘাঁটি ধ্বংস করার পাশাপাশি সে দেশের বায়ুসেনার যাবতীয় প্রতিরোধ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনের দাবি, রুশ সেনার ছোড়া গোলায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৯ জন আহত। আত্মসমর্পণ নয়, জানাল ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। অন্যদিকে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ প্রস্তুতি শুরু করল ন্যাটো। 


এর আগে আজ ভোরে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে অস্ত্র সমর্পণ করতে বলে সামরিক অভিযানের ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। ইউক্রেন নিয়ে কোনও বিদেশি শক্তি নাক গলালে তার ফল ভুগতে হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। এরপরই ইউক্রেন জুড়ে জারি হয় সামরিক আইন। যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে আগেই ইউক্রেন সীমান্তে এয়ারস্পেস বন্ধ করে দেয় রাশিয়া। ইউক্রেনও তাদের ৩টি বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে। ইউক্রেনের দূতাবাস খালি করেছে মস্কো। ইউক্রেনের তরফেও তাদের নাগরিকদের রাশিয়া ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন: Russia Ukraine Conflict: রুশ আক্রমণের মুখে ইউক্রেনের লুগানস্কের দুটি শহরের আত্মসমর্পণ