সৌভিক মজুমদার ও উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: আনিসের (Anis Khan) বাড়িতে অভিযান আইন মেনে হয়নি। আদালতে এ’কথা স্বীকার করল রাজ্য সরকার। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের শাস্তির প্রয়োজন রয়েছে বলেও আদালতে জানায় তারা।


ছাত্রনেতা আনিস খান হত্যাকাণ্ড: ছাত্রনেতা আনিস হত্যাকাণ্ডে CBI তদন্তের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছে তাঁর পরিবার। সেই মামলায় মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, আনিস খানকে হত্যা করার উদ্দেশ্য নিয়ে পুলিশ যায়নি। তাই ৩০২ অর্থাৎ খুনের ধারা এই পুলিশকর্মীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। আনিস খানের বাবা সালেম খান এই মামলার প্রত্যক্ষদর্শী নন। এই মামলার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষদর্শী ৩ জন হতে পারেন।একজন হলেন মৃত আনিস খান আর বাকি দুই পুলিশকর্মী। আর কোনও প্রত্যক্ষদর্শী নেই।  সালেম খান শুধুমাত্র পড়ে যাওয়ার আওয়াজ শুনেছেন।  ধস্তাধস্তি হলে পরিবারের কেউ না কেউ চিৎকারের আওয়াজ পেতেন। এখানে কেউ কিছু শোনেননি। সালেম খান ৩ বার বয়ান দিয়ে, ৩ রকম কথা বলেছেন। অভিযুক্তের মোবাইল পরীক্ষা করে কোনও রকমের কোনও চক্রান্তের প্রমাণ মেলেনি। খুনের কোনও রকম উদ্দেশ্যও মোবাইল থেকে পাওয়া যায়নি।  ওসি আমতা, অন্য পুলিশ কর্মী সৌরভ ও নির্মল দাস এবং হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা আনিস খানকে চিনতেন না।  স্থানীয় বাসিন্দা জিয়াউর আনিসের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। ওসি আমতা এবং সৌরভ এই অভিযান সংগঠিত করেছিলেন।


এরপরই প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব বলেন, তদন্তের যান্ত্রিক পদক্ষেপের কথা রাজ্যের রিপোর্টে আছে।  কিন্তু দুই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে কী পদ্ধতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। শুধুমাত্র তদন্ত করলেই হবে না। পরিবার এবং সাধারণ মানুষের মনে যাতে আস্থা থাকে সেটাও দেখতে হবে। সিঁড়ি দিয়ে দুই পুলিশকর্মী ওপরে ওঠার পর কি হল, সেটাও রিপোর্টে পরিষ্কার নয়। বাবার পলিগ্রাফ পরীক্ষার কী প্রয়োজন? তিনি একজন শোকগ্রস্ত পিতা। গাফিলতিতে মৃত্যুর ক্ষেত্রে ৩০৪’এর A ধারা দেওয়া হয়।  আনিস হত্যা মামলায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪’এর A ধারা প্রয়োগের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট। এদিন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বলে, ৩০৪’এর A ধারায় কেন মামলা?  কী করে আপনারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছলেন যে খুনের ধারায় অর্থাৎ ৩০২ ধারায় মামলা হবে না? অভিযুক্তদের মোবাইল পরীক্ষা করে কী পাওয়া গেছে? এদিকে সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় প্রয়াত ছাত্রনেতার বাবা। এদিন সালেম খান বলনে, “সিবিআই তদন্তের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে যাব।“ ৭ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতেই হবে, অন্যথায় বাতিল লাইসেন্স, হাসপাতাল-নার্সিংহোমকে ফের হুঁশিয়ারি মমতার