কলকাতা: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Swasthya Sathi Card) নিয়ে ফের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমগুলিকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জানিয়ে দিলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ না করলে, তাদের লাইসেন্স বাতিল করতেও দ্বিধা করবে না রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কোনও নার্সিংহোম এবং হাসপাতাল যদি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে না চায়, সঙ্গে সঙ্গে থানাকে জানাতে হবে। থানাকেও অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ছুটে গিয়ে ক্রসচেক করতে হবে। বাকিটা সরকার বুঝে নেবে। 


হাসপাতাল-নার্সিংহোমকে ফের হুঁশিয়ারি মমতার


মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে নতুন করে এই নিয়ে ফের বার্তা দিলেন মমতা। প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন, তাঁকে জানানো হয় যে, বার বার সরকারের তরফে বার্তা দেওয়া সত্ত্বেও, বহু নার্সিংহোম, হাসপাতাল স্বাস্থঅযসাথী কার্ড গ্রহণ করছে না। বিশেষ করে অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে রোগী যদি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখান, নানা টালবাহানা করতে দেখা যায় তাদের। কখনও বলা হয় রিনিউ করাতে হবে, নইলে অপারেশন করা যাবে না এমন যুক্তিও দেওয়া হয় বলে জানানো হয় মমতাকে। এ ভাবে চললে রোগীকে বাঁচানোই সম্ভব হবে না বলে মমতার সামনে আর্তি তুলে ধরেন জেলাস্তরের এক প্রতিনিধি।


তাতে হাসপাতাল-নার্সিংহোমগুিলর ভূমিকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন মমতা। বলেন, ‘‘এমন হলে সঙ্গে সঙ্গে থানায় এফআইআর দায়ের করতে হবে। থানাকেও গিয়ে ক্রসচেক করতে হবে, কেন চিকিৎসা হল না। কার্ডের উপর হেল্পলাইন নম্বর রয়েছে। তাতেও ফোন করে অভিযোগ জানাতে হবে। কোনও রিনিউয়াল করাতে হয় না। মিথ্যে বললে হাসপাতালের লাইসেন্স কেটে দেব। অবশ্যই অভিযোগ করবেন। বাদবাকি সরকার দেখে নেবে।’’


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee : ২ হাজার টাকায় বন্দুক কিনে গুলি চালাচ্ছে, খড়গপুরে পুলিশকে বিশেষ নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর


সপ্তাহখানেক আগেই এ নিয়ে সতর্ক করেছিলেন মমতা। সরকারি-বেসরকারি, যে কোনও হাসপাতাল বা নার্সিংহোম হোক না কেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ না করলে লাইসেন্স বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে রাজ্য সরকারের। এমন হতে থাকলে কড়া পদক্ষেপ করতে রাজ্য বাধ্য হবে বলে জানিয়ে দেন তিনি।


ঝামেলার ঘটনা সামনে আসছে একাধিক জেলা থেকে


তবে মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবার্তা সত্ত্বেও একাধিক জেলা থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে ঝামেলার খবর সামনে এসেছে। গত মাসে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের বিনিময়ে পরিষেবা দিতে অস্বীকার করার অভিযোগ সামনে আসে পশ্চিম বর্ধমানের দুই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে। একের পর এক পাঁচটি হাসপাতাল ঘুরিয়েও সে যাত্রায় এক রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এমনকি সরকারি হাসপাতালও প্রত্যাখ্যান করে বলে অভিযোগ সামনে আসে।