উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: আনিস খানের মৃত্যুতে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে শিয়ালদায় (sealdh) আইএসএফের মিছিল। ধর্মতলা (dharmatala) পর্যন্ত এই মিছিলে থাকার কথা আইএসএফ প্রধান আব্বাস সিদ্দিকি ও ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির। একই ইস্যুতে শিয়ালদা থেকে আজ মিছিল করবে এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই। মিছিল যাবে কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত। সেখানে সমাবেশে সামিল হবেন বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের সদস্যরা। আনিসকাণ্ডে বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের সদস্যদের মুক্তির দাবিতেও সরব হবে এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই।


আদালতের নির্দেশে সোমবার SSKM মেডিক্যাল কলেজে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হল মৃত ছাত্রনেতা আনিস খানের দেহের। কিন্তু, মৃত্যুর ১০ দিনের মাথায় কতটা ফলপ্রসূ হবে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত ( Post Mortem )? তা নিয়েই চিন্তায় ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

১৮ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে মৃত্যু হয় ছাত্রনেতা আনিস খানের। পরিবার অভিযোগ তোলে, পুলিশই মেরেছে তাদের ছেলেকে। এরপর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে, আনিসের দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেইমতো অবশেষে মৃত্যুর দশ দিনের মাথায় এদিন বিকেলে তা হয়।


দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত থেকে আর কী জানা যেতে পারে? ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ তাপসকুমার দাস, 'আঘাত মৃত্যুর আগে না পরে জানা যাবে, একমাত্র হাড়ের আঘাতগুলি বোঝা যেতে পারে, খুলি, স্পাইনাল কর্ডের আঘাত বোঝা যেতে পারে, আঘাতের ধরন বোঝা যেতে পারে' ।  তবে একইসঙ্গে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের ফলাফল নিয়ে সংশয়ও প্রকাশ করেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের একাংশ। তাপসকুমার দাস সংশয়প্রকাশ করে বলেন, ' দেহ ৩-৪ দিনের মধ্যে পচন ধরা শুরু করে।  সেখানে ১০দিন অনেক বেশি সময়, সফট টিস্যু কিছুই পাওয়া যাবে না । অর্গানও লিক্যুইডিফাই হয়ে যায়। শরীরের বাইরের আঘাতগুলো কিছু বোঝা যায় না। ফলে নতুন তথ্য পাওয়া মুশকিল। 


গতকাল, আনিস খানের মৃত্যুতে বাম, কংগ্রেসের পর এবার পথে নামল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তবে বাম ও কংগ্রেস যেখানে দাবি করছে, রাজ্য সরকারের তৈরি সিট দিয়ে কখনও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া সম্ভব নয়, তখন ছাত্রনেতার মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি চলছে, এই অভিযোগ তুলে গতকাল মৌলালির রামলীলা পার্ক থেকে গাঁধী মূর্তি পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।