খড়গপুর: পুরভোটের দিন দিকে দিকে অশান্তির ছবি ভেসে এসেছে। শাসক দলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বিক্ষোভ করেছে বিরোধী দলগুলো। গতকাল বিজেপির তরফে বনধও করা হয়েছিল। আজ রাজ্যের ২ টো বুথে পুননির্বাচন হচ্ছে। কিন্তু এ মাঝেই দিলীপ ঘোষ একহাত নিলেন নির্বাচন কমিশনের। এদিন সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ''আমার মনে হয় রাজ্যপাল বলেছেন, তাই তাঁর সম্মানরক্ষার জন্য়েই এই দুটো বুথে নির্বাচন হচ্ছে। কিন্তু সরকারের ইচ্ছে ছিল না। সরকারের অঙ্গুলিহেলনেই চলছে নির্বাচন কমিশন। সরকার চাইছে বিরোধী শূন্য রাজনীতি। সব পার্টিকে সরিয়ে শুধুই তৃণমূল থাকবে। পঞ্চায়েতেও ওরা এটাই করতে চেয়েছিল। এবার পরিস্থিতি বেগতিক দেখে নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ নিয়ে সন্ত্রাসের চেষ্টা করেছে।''
একশো আটটি পুরসভার ভোট ঘিরে রবিবার উত্তপ্ত পরিস্থিতির সাক্ষী বাংলার মানুষ। কোথাও বিরোধী প্রার্থী মার খান, কোথাও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ওঠে। খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হন এবিপি আনন্দ-সহ তিনটি সংবাদমাধ্যমের ন’জন প্রতিনিধি। রবিবার ভোটগ্রহণ (municipal election) হয়েছে রাজ্যের ১০ হাজার ৮১৩টি বুথে। সন্ত্রাসের অভিযোগ জমা পড়েছে ১ হাজার ৪০০টি ! আর সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন পুর্ননির্বাচন ঘোষণা করেছে ২টি বুথে!
রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কটাক্ষ, ' মুখ্যমন্ত্রী হয়ত লিখে দিয়েছিলেন ২ বুথেই ভোট হবে। কমিশন সেই মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২টো তেই ভোট হওয়ার কী দরকার?' খোঁচা দিতে ছাড়েননি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। তিনি বলেন, ' কমিশনকে কেউ মানে না। হাস্যকর হয়ে গেছে, কমিশন মানে নবান্ন আর নবান্ন মানে কমিশন। কোনও দূরত্ব নেই। যমজ ভাই। নবান্ন প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিলে ভাল হত'
হুগলির শ্রীরামপুর পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর বুথ এবং উত্তর চব্বিশ পরগনার দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৪ নম্বর বুথে পুর্নির্বাচন হচ্ছে।