কলকাতা : আনিস রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় সিট (SIT) গঠন করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই সিট গঠনের নির্দেশকে আসলে 'তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার' চেষ্টা বলে কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বললেন, এর আগে নারদ-সারদাতেও তো সিট গঠন হয়েছিল। কোনও তথ্য সামনে এসেছে কি? 

আমতার ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর পর ক্রমেই ঘনীভূত হয়েছে রহস্য। বেড়েছে রাজনৈতিক তরজা। এরই মধ্যে দিকে দিকে শুরু হয়েছে ছাত্র বিক্ষোভ। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের মত, সিট গঠন করে কী হবে, পরিবার তো সিবিআই চায়। ছেলেটি মারা গিয়েছে। তাকে কে বা কারা মারল, তা জানতে সিবিআই (CBI) তদন্তই চাইছে তার পরিবার। এর আগে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লাশ চুরি করতেন, এবার তার হাত থেকে লাশ চুরি গেছে। 


হাওড়ার আমতায় ছাত্রনেতা আনিস খানের রহস্যমৃত্যুর পর তিনদিন পার। এখনও অধরা অভিযুক্তরা। মঙ্গলবার সকালেই কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে আমতা থানার ৩ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করে প্রশাসন। সূত্রের খবর, আমতা থানার ASI নির্মল দাস, কনস্টেবল জিতেন্দ্র হেমব্রম ও হোমগার্ড কাশীনাথ বেরাকে সাসপেন্ড করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে মৃতের পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী তদন্তে সিট গঠন করেছেন। রাতে আমতা থানায় যান সিট-এর সদস্যরা। ঘটনার দিনের থানার পুলিশ কর্মীদের ডিউটি রোস্টার পরীক্ষা করে দেখেন তাঁরা। কথা বলেন থানার আধিকারিকদের সঙ্গে।  মুখ্যমন্ত্রী সিট ঘোষণা করলেও আনিসের পরিবার এখনও সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড়। 


এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ সকালে বড়জোড়ায় বাঁকুড়া দুর্গাপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই কর্মীরা। মিনিট ২০ অবরোধ করা হয়। শিক্ষাবিদ মীরাতুন নাহার প্রশ্ন তুলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ থাকা সত্ত্বেও আনিস নিরাপত্তা পেল না কেন? এর জবাব দেওয়ার দায় তাঁর। না হলে চাকরি দেওয়ার লোভ দেখানো বা গদিতে থাকা তাঁর জন্য অশোভন বলে গণ্য হওয়া উচিত।