পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : ফের বিক্ষোভে উত্তাল আমতা (amta)। মঙ্গলবার আনিস খানের মৃত্যুর তদন্তে তাঁর বাড়িতে যাওয়ার পরই সিটের সদস্যদের ঘিরে প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা (local residents)। আনিসের মৃত্যুর তদন্তে সোমবারই সিট তৈরির ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরে মঙ্গলবার হাওড়ায় আমতায় আনিস খানের বাড়িতে যায় সিট (sit)। এর আগেও আনিসের বাড়িতে যাওয়ার সময় পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল।


হাওড়ার আমতার ছাত্রনেতা আনিস খানের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় বেশ কিছুদিন ধরেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। মহাকরণেই রয়েছে সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর। সিআইটি রোড, মৌলালি, শিয়ালদহ হয়ে মিছিল পড়ুয়াদের।


আনিসের মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার না হলেও, বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে আমতা থানার ৩ পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। সূত্রের খবর, আমতা থানার এএসআই (asi) নির্মল দাস, কনস্টেবল জিতেন্দ্র হেমব্রমকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে  হোমগার্ড কাশীনাথ বেরাকে। তাঁদের বিরুদ্ধে মৃতের পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে। মঙ্গলবার সকালে রাজ্য পুলিশের তরফে এই শাস্তির কথা জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, আনিস খানের পরিবারের তরফে পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছিল, তার ভিত্তিতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবারই আমতা থানার ওসি এবং সেকেন্ড অফিসারকে ভবানীভবনে তলব করেছেন সিট-এর প্রধান, এডিজি সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিং।


সোমবারই নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের মোবাইল ফোনের হদিস মিলেছিল বলে জানিয়েছিল পরিবার। তাদের দাবি, বাড়িতেই খুঁজে পাওয়া গিয়েছে ওই মোবাইল। যদিও পুলিশের হাতে ওই ফোন তুলে দিতে নারাজ আনিসের বাবা। পরিবারের দাবি ছিল, কোনওভাবেই ওই ফোন রাজ্য পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। আদালত বা সিবিআই চাইলে ওই ফোন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল পরিবার। সোমবারই আনিসের মৃত্যুর ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট ( Calcutta High Court)। ২৪ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি।     



আরও পড়ুন: রাস্তায় বসে পড়লেন আন্দোলনকারীরা, অবরুদ্ধ কলেজ স্ট্রিট