পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: হাওড়ার আমতার ছাত্রনেতা আনিস খানের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় আজ তাঁর বাবাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে উলুবেড়িয়া জেলে। সেখানেই টিআই প্যারেড হওয়ার কথা।  ইতিমধ্যে এক হোমগার্ড ও এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের জেল হেফাজত হয়েছে।


তবে আনিসের বাবা জানিয়েছেন, যে তাঁর বুকে আগ্নেয়াস্ত্র ধরে দাঁড়িয়েছিল, সেই পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতার করতে হবে। সেইসঙ্গে আনিসের বাবা জানিয়েছেন, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তে তিনি রাজি নন। এ বিষয়ে আইনজীবীর পরামর্শ নিচ্ছেন তাঁরা। শরীর ভাল থাকলে, তিনি টিআই প্যারেডে যাবেন বলে জানিয়েছেন সালেম। তবে রাতের অন্ধকারে অন্য কারা এসেছিল, তাদের তিনি চিনতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয়প্রকাশ করেছেন আনিসের বাবা। তিনি বলেন, "যাঁকে চিনি তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি।'' ইতিমধ্যে গতকাল রাতে সিট এর সদস্যরা আনিসের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের বয়ান সংগ্রহ করেছেন।


পথে নেমে প্রতিবাদ থেকে। আনিস-মৃত্যু রহস্যের প্রতিবাদে দফায় দফায় আমতা থানা ঘেরাও করা। ছাত্রনেতার মৃত্যুর পর থেকে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি। ৬ দিন পার হলেও, আনিস-মৃত্যু রহস্যের কিনারা এখনও হয়নি। শুক্রবার রাতে কী হয়েছিল?কীভাবে মৃত্যু হয়েছে প্রতিবাদী ছাত্রনেতার? এখনও এরকম একাধিক প্রশ্নের উত্তর জানা যায়নি। এরইমধ্যে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন ধৃত হোমগার্ড ও সিভিক ভলান্টিয়ার। দাবি করেন, তাঁদের বলির পাঁঠা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দু’জনকেই উলুবেড়িয়া আদালতে পেশ করা হয়। ওসি-র নির্দেশে ঘটনার দিন আনিসের বাড়িতে গিয়েছিলেন বলে আদালতে যাওয়ার পথে চাঞ্চল্যকর দাবি করেন দু’জন। অন্যদিকে, হোমগার্ড ও ১ সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতারের পর গতকাল ভবানীভবনে আমতা থানার দুই অফিসার ও তিন সিভিক ভলান্টিয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিট। সূত্রের খবর, ধৃত হোমগার্ড ও সিভিক ভলান্টিয়ারের বক্তব্যের সঙ্গে এঁদের বক্তব্য মিলিয়ে দেখা হয়। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার আনিস-মৃত্যু তদন্তে আপাতত সিটের ওপরই আস্থা রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট।


আরও পড়ুন: Accident News: সাতসকালে বাগমারি রোডে দুর্ঘটনায় মৃত্যু অ্যাপ নির্ভর বাইক চালকের