উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, আমতা (হাওড়া) : রামপুরহাটকাণ্ড (rampurhat violence) নিয়ে বলতে গিয়ে বিস্ফোরক সালেম খান। সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় মৃত ছাত্রনেতা আনিস খানের (anish khan) বাবা কড়া ভাষায় সমালোচনা করলেন রাজ্য সরকারের (west bengal government)। আনিস খানের বাবা বলেছেন, 'আমাকেও কেনার জন্য এসেছিল, আমি কেনার লোক নই, আমি মাথা বিক্রি করার লোক নই। আমাকেও দুটো চাকরি, পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য এসেছিল, আমি বলে দিয়েছি, ওনাদের কাছে মাথা বিক্রি করব না। টাকা বা চাকরির দরকার নেই। আমার সুবিচার চাই। ন্যায়বিচার চাই।' পাশাপাশি ছেলের মৃত্যুর ন্যায়বিচারের জন্য তিনি সিবিআই তদন্তই (CBI probe) চাইছেন বলে ফের একবার পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন সালেম খান।


রামপুরহাটকাণ্ড নিয়ে কী বললেন আনিস খানের বাবা


রামপুরহাটকাণ্ডে মৃতদের পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) নির্দেশের পরই গ্রেফতার করা হয়েছিল তৃণমূল নেতা আনিরুল হোসেনকে। শুক্রবার অবশ্য রাজ্যের থেকে তদন্তভার নিয়ে সিবিআইকে গোটা বিষয়টির বিস্তারিত তদন্তের দায়ভার দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় যে তিনি সন্তুষ্ট নন, সেটাই প্রকাশ করেছেন সালেম খান। আনিস খানের বাবা বলেছেন, 'রামপুরহাটে তো ১০-১১ জনকে পুড়িয়ে মারা হল। সেখানে গিয়ে দিদি মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ করে টাকা, ঘর বানানোর জন্য ২ লক্ষ করে টাকা দেওয়ার কথা প্রচার করে এলেন। তিনি বললেন যে উপপ্রধান মারা গিয়েছেন তিনিও তৃণমূলের লোক, আর যারা পুড়িয়ে মেরেছে তারাও তৃণমূলের লোক, তাহলে ওনার দলের লোকই পুড়িয়ে মারবে আর উনি দেখভাল করবেন! আর তাদের টাকা দেবেন, এই তো আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থা।'



এদিকে, আনিস খানের মৃত্যুর পর ৪২ দিন কেটে গেলেও এখনও তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ার জেরে সরকার ও তদন্তকারীদের উদ্দেশ্যে ক্ষোভ উগরে দেন মৃত ছাত্রনেতার গ্রামের লোকজন। বিরোধী দলের নেতারা আনিসের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেও তৃণমূলের নেতারা সেখানে পৌঁছতেই প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন।


আরও পড়ুন- 'গো ব্যাক' স্লোগান, আমতায় গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে আনিস খানের গ্রামে ঢুকতে পারলেন না ফিরহাদ হাকিম