অর্ণব মুখোপাধ্যায়, হাওড়া : এবার আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় পরিবার। এরই মধ্যে আবার বাগনান থানার এসআই সৌমেন গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আনিসের বাড়িতে যায় আমতা থানার পুলিশ। আনিসের দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়। পরে আনিসের বাড়িতে গিয়ে সিটের সদস্যরাও একই অনুরোধ জানান। তখনই ফিরে এল সেই রিজওয়ানুরকাণ্ডের প্রসঙ্গ ! যখন ক্ষমতায় ছিল বামেরা। রাজ্যের প্রধান বিরোধী মুখ ছিলেন অধুনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee ) । 

রিজওয়ানুরকাণ্ডে তত্কালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভিডিও ক্লিপ শুনিয়ে সিটের (SIT) সদস্যদের কাছে প্রশ্ন তোলে আনিসের (Anish Khan ) পরিবার। তাঁদের দাবি, রিজওয়ানুরকাণ্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই সিবিআই (CBI) তদন্ত চেয়েছিলেন, তাহলে আনিসের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্ত কেন হবে না, এদিন প্রশ্ন তোলে মৃত ছাত্রনেতার পরিবার।  তবে আনিসের পরিবার জানিয়েছে, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তে তারা রাজি নয়। তবে সিবিআই দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত চাইলে অনুমতি দেওয়া হবে। সিট বা রাজ্য পুলিশের ওপর ভরসা নেই, ফের একবার জানায় মৃত ছাত্রনেতার পরিবার। 

আরও পড়ুন :


' বোঝা যাচ্ছে, নিরপেক্ষ তদন্তে কারা ভয় পাচ্ছে ', আনিসের পরিবারকে 'হুমকি' নিয়ে পোস্ট বিকাশরঞ্জনের


দিনটা ছিল ২০০৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর । পাতিপুকুরে রেললাইনের ধার থেকে ছেলের মৃতদেহ উদ্ধারের খবর শুনে, কাঁদতে কাঁদতে ‘ইনসাফ’ চেয়েছিলেন কড়েয়ার রিজওয়ানুর রহমানের মা! আজ আনিসের মৃত্যুর ঘটনায় যেভাবে পুলিশের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠছে, রিজওয়ানুরের মৃত্যুর সময়ও, পুলিশ অফিসারদের একাংশের বিরুদ্ধে উঠেছিল চক্রান্তে সামিল হওয়ার অভিযোগ! এরপর সুবিচারের দাবিতে শুরু হয় এক আপোসহীন এক লড়াই। তখন তত্কালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়েছিলেন। বহু তত্ত্ব-তর্ক-বিশ্লেষণ-কাঁটাছেঁড়ার পরে সেদিন ভিড় থেকে একটাই আওয়াজ উঠেছিল ‘ইনসাফ’ চাহিয়ে! এখনও সেই আওয়াজই ছড়িয়ে পড়ছে আমতা থেকে কলকাতার রাজপথে। উঠছে আওয়াজ, অপরাধীদের শাস্তি চাই।