কলকাতা: চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর প্রথম কিস্তির টাকা জমা পরেশ-কন্যার। এদিন প্রথম কিস্তির ৭ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা জমা দিয়েছেন অঙ্কিতা অধিকারী ((Ankita Adhikary)। ৭ জুনের আগেই প্রথম কিস্তির ৭ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা জমা দিলেন অঙ্কিতা অধিকারী। হাইকোর্টে এই বিষয়ে জানিয়েছেন অঙ্কিতা অধিকারীর আইনজীবী। উল্লেখ্য, হাইকোর্টের নির্দেশের পরই পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikary) কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর বেতন বন্ধ। পরিচালন সমিতির বৈঠকে তাঁর বেতন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এসএসসি দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় অঙ্কিতাকে বরখাস্ত ও বেতন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। 


রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে বেআইনি ভাবে চাকরিতে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছিল। আরেক চাকরিপ্রার্থী ববিতা সরকারের মামলার জেরেই স্কুল শিক্ষিকার চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় অঙ্কিতাকে। অঙ্কিতাকে দুই কিস্তিতে ৪১ মাসের বেতন ফেরতেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।


এসএসসি দুর্নীতির পর্দাফাঁস করেন ববিতা


২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা হয়েছিল (SSC Recruitment Scam)। ২০১৭ সালের ২ মে সেই পরীক্ষার ফল বেরোয়। অভিযোগ, SSC-র প্রথম তালিকায় অঙ্কিতা অধিকারীর নামই ছিল না। ২০ নম্বরে নাম ছিল ববিতার (Babita Sarkar)। এর পর যখন নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয় এসএসসি-র তরফে, তাতে নিজের নাম ২১ নম্বরে দেখতে পান ববিতা।


সিবিআই সূত্রে দাবি, তাদের ধারণা  অঙ্কিতা অধিকারী একা নন, এমন আরও অনেককে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে অনৈতিকভাবে। সেই রকম একটি তালিকাও তৈরি করা হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর জমা দেওয়া নথিও খতিয়ে দেখেছে সিবিআই। ঘটনাচক্রে ফরোয়ার্ড ব্লক থেকে এখন শাসক দলের মন্ত্রী পরেশ অধিকারী। তাঁকে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হলেও পরেশের মেয়ে অঙ্কিতাকে এখনও ডাকা হয়নি।


আরও পড়ুন: মেধাতালিকায় দুই হিমাংশু, রাজ্য জয়েন্টেও 'নেমসেক'