শুভেন্দু ভট্টাচার্য, মাথাভাঙা: লোকসভা নির্বাচনে নিশীথ প্রামাণিক হারার পর থেকে কোচবিহারের একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির (BJP)। দল দলে জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে (TMC)। যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চলছে দু-দলের। এর মাঝেই নতুন করে ঘটা একটি ঘটনার জেরে ফের বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাথাভাঙা (Mathabhanga News) ২ নম্বর ব্লকের পাড়াডুবি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কয়েকদিন ধরে অনুপস্থিত রয়েছেন। গ্রাম পঞ্চায়েতে আসছেন না। তাই সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করা উপপ্রধানকে শুক্রবার প্রধান হিসেবে কাজ করার দায়িত্ব দিয়ে ঢোকানো হল পঞ্চায়েতে। যা নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির অভিযোগ, এই ঘটনায় এটা প্রমাণ করল যে তৃণমূল ও প্রশাসন এক হয়ে গেছে।
২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা দু'নম্বর ব্লকের পাড়াডুবি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৩টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জয়লাভ করেছিল দশটিতে এবং বিজেপি ১৩টিতে। এরপর লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরে উপপ্রধান সহ বিজেপির চারজন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগদান করায় তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয় ১৪ এবং বিজেপির কমে হয় ৯। যদিও বিজেপির প্রধান তৃণমূলে যোগদান না করায় সরাসরি গ্রাম পঞ্চায়েতটি এতদিন পর্যন্ত দখল করতে পারেনি তৃণমূল। কিন্তু, শুক্রবার সবুজ আবির খেলে এই গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল। উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক।
তাঁর দাবি, পঞ্চায়েত প্রধান অনুপস্থিত তাই সরকারি নিয়ম অনুযায়ী উপপ্রধানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যদিও এই ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। তাদের দাবি, প্রধান ইতিমধ্যেই গ্রাম পঞ্চায়েতে ঢুকতে না পেরে মামলা করেছেন। এর মধ্যেই তৃণমূল প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে ভুল পথে গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করতে চাইছে।
যদিও এপ্রসঙ্গে মাথাভাঙা দু'নম্বর ব্লকের ভিডিও অন্য মুখোপাধ্যায় জানান, প্রধান ছুটির জন্য আবেদন করেছেন। তাই উন্নয়ন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পঞ্চায়েতের নিয়ম অনুযায়ী রেজুলেশন করে উপপ্রধানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত বর্তমান প্রধান কাজে যোগ না দেবেন ততদিন উপপ্রধান তাঁর দায়িত্ব সামলাবেন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।