কলকাতা: প্রথম দিন ক্ষুদ্ধ, পরের দিনই সম্মতি। হাসিমুখে রাজ্যসভায় নিজের বক্তব্য পেশ করলেন 'অমিতাভ জয়া বচ্চন' (Amitabh Jaya Bacchan)। শুধু বক্তব্য পেশ নয়, রীতিমতো মজার ছলে কথা বললেন, জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে! বিষয়টা ঠিক কী? 


গত ২৯ জুলাই লোকসভার অধিবেশন চলছিল। সেখানেই চেয়ারপার্সন হরিবংশ নারায়ণ (Chairperson Harivansh Narayan) জয়া বচ্চনকে উল্লেখ করে কথা বলতে গিয়ে বলে বসেন, 'অমিতাভ জয়া বচ্চন'। স্বামীর নাম স্ত্রীয়ের নামের সঙ্গে জুড়ে নেওয়ার রীতি অনেক জায়গাতেই রয়েছে। তবে বিষয়টি সম্পূর্ণ ঈচ্ছিক। কিন্তু এই সম্বোধনে বেঁধে বসেন জয়া। তিনি উত্তরে বলেন, 'স্যর.. শুধু জয়া বচ্চন বললেই যথেষ্ট।'


আর আজ, ২ অগাস্ট আবার জয়ার অন্য মূর্তি। জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জয়া বললেন বলে ওঠেন, 'স্যর আমি, জয়া অমিতাভ বচ্চন আপনাকে প্রশ্ন করছি...' এটুকু বলার পরেই হেসে ফেলেন ধনকড়। গোটা লোকসভাতেই তখন হাসির পরিবেশ। হেসে ফেলেন জয়া নিজেও। তারপরে হাসি সামলে নিয়ে ফের বলেন, 'আমি জয়া অমিতাভ বচ্চন আপনাকে প্রশ্ন করছি, আপনি আজ দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় পেয়েছেন? পাননি? সেই জন্যই আপনি বার বার জয়রামজী-র নাম নিচ্ছেন। কারণ ওঁর নাম না নিলে তো আপনার খাবার হজম হয় না।'


উত্তরে হাসিতে ফেটে পড়েন ধনকড়। বলেন, 'খুব হাল্কাভাবেই আমি উত্তরটা দিচ্ছি। আমি দুপুরের খাবার সময় খাইনি ঠিকই। কিন্তু জয়রামজীর সঙ্গে দুপুরের খাবারটাই খেয়েছি। এমন সুযোগ কিন্তু খবর কম হয়।' গোটা লোকসভা জুড়েই তখন হাসির আবহ।


এর আগে, নিজের নামের সঙ্গে অমিতাভ বচ্চনের নাম জুড়তে অস্বীকার করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হয়েছিলেন জয়া বচ্চন। অনেকে আবার তুলে এনেছিলেন রেখা (Rekha)-র পুরনো একটি সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গও। সেখানে নাম না করে রেখাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, অমিতাভের এক ঝলক দেখলেই তিনি খুশি হয়ে ওঠেন। আর অমিতাভের নাম নিজের নামের সঙ্গে জুড়তে না চাওয়া নিয়ে জয়ার এই ব্যবহারের সঙ্গে রেখার নমনীয় ব্যবহারের তুলনাই করেছিলেন সবাই।


 






আরও পড়ুন: Rudrajit-Promita: দীর্ঘদিন দেখা নেই ছোটপর্দায়, হারিয়েই গেল রুদ্রজিৎ-প্রমিতা জুটি?


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।