কলকাতা: শিয়ালদার (Sealdah) কাছে অ্যান্টনিবাগান লেনে (Antonybagan Lane) ভেঙে পড়ল পুরনো বাড়ির একাংশ। বাড়ি ফাঁকা থাকায় অল্পের জন্য রক্ষা। স্থানীয় সূত্রে খবর, সকাল সোয়া ৮টা নাগাদ অ্যান্টনিবাগান লেন ও বুদ্ধ ওস্তাগর লেনের সংযোগস্থলে পুরনো বাড়ির দোতলার বারান্দা ভেঙে পড়ে। ধসে পড়ে দেওয়ালের একাংশ। বাড়ির বাসিন্দারা মালদায় আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান। বাড়ির একতলায় দোকানও বন্ধ ছিল। ঘটনাস্থলে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য,কিছুদিন আগেই বউবাজারে ভেঙে পড়ে একের পর এক বাড়ি। তা নিয়ে চলতে থাকে টানা পোড়েন। তবে মেট্রোর কাজ শেষ হলেই, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মাটি পরীক্ষা করতে হবে। তারপরই বাড়িগুলির ভবিষ্যত্ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। বউবাজার বিপর্যয় নিয়ে কলকাতা পুরসভাকে রিপোর্ট দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি।
বাড়িগুলির ভবিষ্যত্ কী? বর্তমান অবস্থা ঠিক কতটা খারাপ? মেট্রো পরিষেবা চালু হলে আর ক্ষতি হবে না তো? ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের জেরে বিপর্যস্ত বউবাজারের বাড়িগুলি নিয়ে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ টিমের কাছে জানতে চেয়েছিল কলকাতা পুরসভা।
সোমবার রিপোর্ট দিয়েছে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক, রামেন্দুবিকাশ সাহু, দীপঙ্কর চক্রবর্তী ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক হিমাদ্রি গুহ’র কমিটি। রিপোর্টে বলা হয়েছে,
প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিল্ডিংগুলির সার্ভে করা হয়েছে। আশপাশের এলাকাতেও এই সমীক্ষা চলবে।
সমস্তরকম সতর্কতা নিয়ে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টানেলের কাজ শেষ করা উচিত। কারণ, মেট্রো রেলের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পরই বাড়িগুলি পুনরুদ্ধার, মেরামতি বা নতুনভাবে তৈরি করার কাজ শুরু করা যেতে পারে। মেট্রোর কাজ শেষ হওয়ার পরই, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মাটি পরীক্ষা করতে হবে।
কারণ, ভূগর্ভে জলের সঙ্গে মিশে মাটি ও বালি ধুয়ে গিয়ে বারবার অঘটন ঘটছিল। তাই সেই অংশের মাটি পরীক্ষা করতে হবে। শিয়ালদায়, যেখানে মাটির নীচে টানেলের গভীরতা কম, সেখানে মেট্রো চলাচল শুরু হলে, বাড়ি গুলির ওপর তা কী প্রভাব ফেলছে, দেখতে হবে।
বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট তো মিলেছে। কিন্তু দুর্ভোগ দূর হবে কবে? সেই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য অধরা।