কলকাতা: অনুব্রত মণ্ডলের হিসাব রক্ষক, মণীশ কোঠারিকে ৬ দিনের জন্য ইডি হেফাজতে পাঠাল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। আজ এই মামলা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে কেঁদে ফেলেন মণীশ। বলেন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হয়ে কাজ করাটাই তাঁর ভুল! এদিন দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দেননি অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা। সূত্রের খবর, হাজিরার জন্য ইডির কাছে আরও সময় চেয়েছেন তিনি।


গরু পাচার নিয়ে বিতর্কের ঝড় বইছে বাংলায়! যে মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের চাপ ক্রমশ বাড়ছে! তাঁর দেহরক্ষীর পর এবার চার্টার্ড অ্য়াকাউন্ট্যান্ট গ্রেফতার হতেই...বুধবার ইডির হাজিরা এড়ালেন অনুব্রত কন্য়া সুকন্য়া মণ্ডল। দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজির হলেন না তিনি। নানা মহলে প্রশ্ন গ্রেফতারির আশঙ্কাতেই কি ইডির সামনে হাজিরা এড়ালেন অনুব্রত কন্য়া সুকন্য়া? ইডি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার আইনজীবী মারফৎ সুকন্যা এজেন্সিকে জানান, তাঁর কিছু সমস্যা আছে। পূর্ব নির্ধারিত কিছু কাজও রয়েছে। তাই এদিন তাঁর পক্ষে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। তাঁকে সময় দেওয়া হোক।


এ দিকে, তদন্তে অসহযোগিতা এবং তথ্য গোপনের অভিযোগে মঙ্গলবারই অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে গ্রেফতার করে ইডি। অনুব্রত'র 'কোটির খেলা' জানেন 'কোঠারি'? এদিন দিল্লিতে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট চত্বরে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, কেঁদে ফেলেন মণীশ! এদিন ইডির আইনজীবী মণীশ কোঠারিকে হেফাজতে চেয়ে বলেন, তিনি অনুব্রত মণ্ডলের হিসাব রক্ষক। অনুব্রতর হয়ে তিনিই এই অপরাধকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন! অনুব্রতর হয়ে একাধিক শেল কোম্পানি তৈরির পাশাপাশি কর্মীও নিয়োগ করতেন তিনি। অনুব্রত আমাদের কাছে দাবি করেছেন, টাকা তছরুপের সঙ্গে জড়িত মণীশই। তিনি সব জানেন। শুধু অনুব্রতই নন, সায়গল হোসেনের হয়েও তিনি আর্থিক দুর্নীতি করেছেন!


এরপর মণীশের আইনজীবী বলেন, তিনি কোনও অপরাধী নন। তিনি চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন মাত্র। তাঁকে ইডি যখনই ডেকেছে, হাজিরা দিয়েছেন। পরবর্তীকালেও সহযোগিতা করবেন। তিনি অসুস্থ। গ্রেফতার করার প্রয়োজন ছিল না। 


দু-পক্ষের সওয়াল-জবাবের পরে মণীশ কোঠারিকে ৬ দিনের জন্য ইডির হেফাজতে পাঠায় দিল্লির রাউস অ্য়াভিনিউ আদালত। এদিকে, ইডি সূত্রের খবর, ২০ মার্চের আগে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যাকে ফের তলব করা হবে। সেদিনই কি বাবার সঙ্গে মেয়ে এবং অনুব্রতর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারিকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করবেন তদন্তকারীরা? সব মিলিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের ওপর চাপ ক্রমশ বাড়ছে।