বিজেন্দ্র সিংহ ও প্রকাশ সিনহা, নয়াদিল্লি : যাত্রাপথ থেকে শুনানি-পর্ব। টানটান নাটক যেন থামছেই না। রাতবিরেতেই অনুব্রত মণ্ডলের শুনানির জন্য তাঁকে সশরীরে নিজের বাড়িতে হাজির করতে বললেন বিচারক ! অনুব্রতকে পুলিশি হেফাজতে মেতে মরিয়া ইডি প্রথমে ভার্চুয়াল শুনানিতে পেশ করে। যেখানে তা নিয়ে আপত্তি তোলেন গরু পাচার মামলায় ইডি হেফাজতে থাকা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal)আইনজীবী। যারপরই অনুব্রতকে সশরীরে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেন বিচারপতি রাকেশ কুমার। সব পক্ষকেই রাতবিরেতেই শুনানির জন্য নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠান বিচারপতি।


অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী মুদিত জৈন ভার্চুয়াল শুনানির মাঝে আপত্তি তুলে জানান, এই ধরনের ক্ষেত্রে প্রথমে সশরীরে হাজিরা দেওয়া উচিত। যে বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই মধ্যরাতেই নিজের বাড়িতে সবপক্ষকে ডেকে পাঠান বিচারপতি। অনুব্রত-র আইনজীবী ও ইডি-র আইনজীবী নীতীশ রাণাকে নিজের বাড়ির ঠিকানা জানিয়ে দ্রুত সেখানে হাজির হতে বলেন বিচারপতি। যারপরই ইডি তাদের সদর দফতর থেকে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতিকে নিয়ে রওনা হয়ে যায় বিচারপতির বাড়ির উদ্দেশে। এদিকে,  আদালতের নির্দেশ মতো দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার পর অনুব্রত মণ্ডলকে প্রথমে স্বাস্থ্যপরীক্ষার বদলে ইডি তাদের সদর দফতরে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ তোলেন অনুব্রত-র আইনজীবী। 


এর মাঝেই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে, কতদিন অনুব্রতকে জেল হেফাজতে পাবে ইডি। কারণ, গরু পাচার মামলার যাবতীয় কেস এর আগে উঠেছে বিচারপতি রঘুবীর সিংহের এজলাশে। তার এজলাসে পরের বিচারপর্বের সুযোগ আসার আগে পর্যন্ত আপাতত হোলির ছুটি কাটিয়ে ৯ তারিখ পর্যন্ত অনুব্রতকে জেল হেফাজতে পাঠাতে পারেন বিচারপতি। প্রাথমিকভাবে অনুব্রতকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে পেতে মরিয়া ছিল ইডি। পরে অনুব্রতকে যাতে ৯ তারিখ ছুটির শেষে বিচারপতি রঘুবীর সিংহের এজলাসে সশরীরে পেশ করা যায়, তাই আপাতত ৯ তারিখ পর্যন্ত হেফাজতের সম্ভাবনাই বেশি। 


মঙ্গলবার সারাদিনের যাত্রাপর্বের শেষে সন্ধে ৬ টা ৫৬ মিনিটে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে তিন ইডি আধিকারিক ও তাদের সঙ্গে থাকা একজন মেডিক্যাল অফিসার রওনা দেন দিল্লির পথে। রাত ৮ টা ৫৬ মিনিটে তারা দিল্লি পৌঁছান। যার পরে রাতেই অনুব্রত-র স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয় রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে। তারপরই ভার্চুয়াল ও মধ্যরাতে বিচারপতির বাড়িতে শুনানি পর্ব। 



অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লি পৌঁছল ইডি, স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর রাতেই আদালতে পেশ