কলকাতা: সিবিআই বিচারককে হুমকি-চিঠির প্রসঙ্গে নিজে থেকে তদন্ত দাবি করেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। এ বার আদালত কক্ষেই সিবিআই-কে (CBI) কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন বীরভূমের তৃণমূল (TMC) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল" href="https://bengali.abplive.com/district/anubrata-mondal-may-seek-cbi-investigation-on-judge-gets-threat-letter-seeking-bail-for-anubrat-914746" data-type="interlinkingkeywords">অনুব্রত। হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তি পাওয়া তিনি আয়কর দফতরকে পেনাল্টি দিতে পারেন বলে জানিয়েছেন।
শুধু সন্দেহের বশে হেফাজত চাইছে সিবিআই, দাবি অনুব্রতর আইনজীবীর
১৪ দিনের হেফাজত শেষে বুধবার অনুব্রতকে ফের আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে (Asansol Special CBI Court) তোলে সিবিআই। সেখানে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অনুব্রতর গ্রেফতারির আর্জি জানান অনুব্রতর আইনজীবী। অন্য দিকে, অনুব্রতকে প্রভাবশালী বলে উল্লেখ করে জামিনের বিরোধিতা করেন সিবিআই-এর আইনজীবী। বরং আরও ১৪ দিন তাঁর হেফাজত চাওয়া বয়েছে।
সেই নিয়ে সওয়াল জবাব চলাকালীনই এ দিন অনুব্রতর আইনজীবী, মক্কেলের হয়ে বলেন, "হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি পাওয়া গেলে আয়কর দফতরকে পেনাল্টি দিতে পারি। আমার মক্কেলকে সবাই চেনেন। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে চেনেন, এটা কি দোষ? মামলার এফআইআর-এ নামই নেই অনুব্রতর। প্রত্যেক বার সিবিআই প্রভাবশালীতত্ত্ব খাড়া করে। কিন্তু এর সপক্ষে কোনও প্রমাণ নেই। এফডি রয়েছে, ব্যাঙ্কে রেখেছে, আমার মক্কেল কিছু লুকোয়নি। কাল সিবিআই রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়েছিল, আমার মক্কেলের নামে কিছু পেয়েছে? আমার মক্কেলের বয়স ৬৫, সিওপিডি সহ অনেক শারীরিক সমস্যা। শর্তাধীন জামিন দেওয়া হোক।"
জামিন না দিলে ৪৮ ঘণ্টা পর পর অনুব্রতর মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্সের আবেদনও জানান তাঁর আইনজীবী। কিন্তু সিবিআই-এর আইনজীবী পাল্টা বলেন, "এটা একটা চেন বিজনেস, একজন নয়, অনেকে জড়িত। অনেক ষড়যন্ত্রকারী রয়েছে। এই কেলেঙ্কারিতে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে। গোটা কেলেঙ্কারিতে পরিবহণের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। গরুপাচারের ক্ষেত্রে আমরা অনেকের জবানবন্দি রেকর্ড করেছি। সেখানেই প্রধান নাম উঠে এসেছে অনুব্রতর। বিএসএফের ভূমিকা নিয়েও সিবিআই তদন্ত করছে, একজন গ্রেফতার হয়েছে। অনেক সরকারি কর্মচারীর ভূমিকা পেয়েছে সিবিআই। হাট থেকে গরু নিয়ে গিয়ে সীমান্তে পাচার করা হয়েছে। এনামুল হক মাস্টারমাইন্ড, তাঁর বয়ান সায়গলের বিরুদ্ধে। সায়গল অনুব্রতর নির্দেশেই টাকা পেতেন। এটা ন্যাশনাল ক্রাইম, ছোটখাটো ক্রাইম নয়। পাচারের জন্য ট্রাকে গরু নিয়ে যাওয়া হত। অনুব্রতর ভূমিকা এখানে অনেক বড়। প্রচুর টাকা নিয়েছেন, মেয়ে ও আত্মীয়দের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন।"
অনুব্রতর নির্দেশেই টাকা পেতেন সায়গল, দাবি করল সিবিআই
আদালতে এ দিন ফের অনুব্রতকে ১৪ দিনের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে সিবিআই। কিন্তু অনুব্রতর আইনজীবী বলেন, "শুধু সন্দেহের বশে হেফাজতে চেয়েছে সিবিআই। অনুব্রতকে নিশানা করে তদন্ত করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে তদন্ত করছে সিবিআই। অনুব্রত একটা দল করেন বলে তাঁকে নিশানা করা হচ্ছে। পশুহাট থেকে গরু কিনে সীমান্ত পার করা হলে আমার মক্কেলের ভূমিকা কোথায়? সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার হলে তার দায়িত্ব বিএসএফের। আমার মক্কেল সেফ প্যাসেজ করে দিতেন, এর কোনও প্রমাণ নেই।"