সুকান্ত মুখোপাধ্যায় ও প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: কমান্ড হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষ। অনুব্রত মন্ডলকে (Anubrata Mandal) নিয়ে আসা হল নিজাম প্যালেসে। সূত্রের খবর, কমান্ড হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন এখনই অনুব্রতর যা স্বাস্থ্যের অবস্থা তাতে তাঁকে আপাতত হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই। ফলে মেডিক্যাল টেস্টের শেষে ফের নিজাম প্যালেসে নিয়ে আসা হয়েছে অনুব্রতকে। কমান্ড হাসপাতাল থেকে কনভয় বেরিয়েছে। সিবিআইয়ের ৬টি গাড়ির কনভয় নিজাম প্যালেসে গিয়ে।


কতক্ষণের পরীক্ষা:
১ ঘণ্টা ৫০ মিনিট ধরে কমান্ড হাসপাতালে পরীক্ষা (Medical Test) করা হয় অনুব্রতকে। এমারজেন্সি ব্লকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। বৃহস্পতিবার সারাদিনের ধকলের পর, সকাল থেকে অসুস্থতার কথা বলেছিলেন অনুব্রত মন্ডল। এদিন সকালে তাঁকে বিশ্রাম দিয়ে কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় মেডিক্যাল টেস্টের জন্য। অনুব্রতর সিওপিডি, একাধিক শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে। একাধিক মেডিক্যাল টেস্ট হয়েছে। একজন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টও দেখেছেন। 

বৃহস্পতিবার বোলপুরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রতকে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় আসানসোল আদালতে। সেখান থেকে তাঁকে ১০ দিনের হেফাজতে নেয় সিবিআই। রাতেই তাঁকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায় নিজাম প্যালেসে। দীর্ঘক্ষণ গাড়িতে চড়ে এসেছিলেন অনুব্রত। এদিন সকালে তিনি অসুস্থতার কথা বলায়, সকালে তাঁকে জেরা করা হয়নি। কিছুক্ষণ বিশ্রাম দিয়ে পরে নিয়ে যাওয়া হয় কমান্ড হাসপাতালে। সেখানেই দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁর যাবতীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ড।

কী কী প্রশ্ন অনুব্রতকে?
সিবিআই (CBI) সূত্রে দাবি, অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সঙ্গে নিয়মিত কথা হত এনামুল হকের। বীরভূমের (Birbhum) ইলামবাজারের গরুর হাটের মালিকের সঙ্গেও কথা হত সায়গলের। সিবিআই আধিকারিকরা জানতে চাইতে পারেন, অনুব্রত এই কারবারের ব্যাপারে কতটা ওয়াকিবহাল ছিলেন? সায়গলের ফোনে তাঁর সঙ্গে এনামুল বা লতিফের কথা হয়েছিল কি না। কথা হয়ে থাকলে, কী কথা হয়েছিল? গরুর কারবারের আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি কী জানেন? মূলত সায়গলের সঙ্গে এনামুল বা লতিফের ফোনে কথোপকথনের থেকে যে সব সূত্র মিলেছে, তা নিয়েই জেরা করা হবে অনুব্রতকে।


এরই মধ্যে অনুব্রত-গ্রেফতারির পরেই দুরকম ছবি দেখা গিয়েছে রাজ্যে। কোথাও সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপির মতো বিরোধী আনন্দ প্রকাশ করেছে। শাস্তির দাবিতে মিছিল করেছে। গুড়-বাতাসা-নকুলদানা বিলি করা হয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ইডি-সিবিআইয়ের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শুক্রবার রাস্তায় নামা হয়েছে।

আরও পড়ুন: লকডাউনে কর্মহীন ! এটিএম ভেঙে লুঠের চেষ্টার ঘটনায় পুলিশের জালে অভিযুক্ত