সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় এ বার কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)-এর নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে গিয়েছে বীরভূমের তৃণমূল (TMC) সভাপতি। ৩১ জানুয়ারি তাঁকে সাক্ষী হিসেবে হাজিরার নেটিস পাঠন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সেই অনুযায়ী বৃহস্পতিবার গোয়েন্দাদের সামনে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রতর। তার আগে আদালতে গেলেন তিনি। বৃহস্পতিবারই আদালত তাঁর আবেদনের শুনানি করবে।
গতবছর বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Election 2021) ফল ঘোষণার দিন, ২ মে বীরভূমের (Birbhum News) ইলামবাজারের গোপালনগর গ্রামে বিজেপি (BJP) কর্মী গৌরব সরকার খুন হন বলে অভিযোগ। তাঁর পরিবার অভিযোগ করে যে, ওই দিন দুপুরে তাঁদের বাড়িতে হামলা চালান একদল তৃমমূল কর্মী। তাঁরা পিটিয়ে মেরে ফেলেন গৌরবকে। তাঁর ভাই এবং বন্ধুকেও লোহার রড এবং লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় বলে দাবি করে ওই পরিবার।
আরও পড়ুন: TMC: আজ তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন, বিজেপি বাদে অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ
এই ঘটনায় ইলামবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পরবর্তী কালে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে ওঠে তদন্তভার। ইতিমধ্যেই এই মামলায় একাধিক সাক্ষীর বয়ান নেওয়া হয়েছে। তাতে অনুব্রতর নাম উঠে এসেছে বলে দাবি সিবিআই-এর। এর পরই পর পর দু’বার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার জন্য যেতে পারছেন না বলে গোয়েন্দাদের জানিয়ে দেন অনুব্রত। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সেই নোটিসের বিরুদ্ধে এ বার থানায় গেলেন কেষ্ট।
উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence Cases) দু’টি মামলায় নতুন করে আরও চার জনের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করেছে সিবিআই। ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর কোচবিহারের শীতলখুচি এবং বীরভূমের নলহাটিতে দুই বিজেপি কর্মী খুন হন বলে অভিযোগ জমা পড়েছিল। মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট থেকে সেই মামলার তদন্ত ভার যায় সিবিআই-এর হাতে।
ওই দুই মামলায় মোট চার জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ঘটনার পর থেকেই ফেরার অভিযুক্তরা। তাঁদের নাগাল পেতে মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারেরও ঘোষণা করেছে সিবিআই।