বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি : মরিয়া চেষ্টাই সার, শেষপর্যন্ত তিহাড় জেলেই যেতে হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) । প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির সঙ্গে এবার তিহাড় জেলেই স্থান হচ্ছে কেষ্টর। গরুপাচারকাণ্ডে ধৃত বীরভূমরে তৃণমূল জেলা সভাপতিকে ২৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের । রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট (Raus Avenue Court) নির্দেশ দিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে তিহার জেলে পাঠানোর। 


তিহাড়-যাত্রা এড়াতে মরিয়া চেষ্টা


তিহাড়-যাত্রা ঠেকাতে প্রথম থেকেই চেষ্টার কোনও কসুর করেননি অনুব্রত মণ্ডল। গত বছর ১১ অগাস্ট বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে CBI-এর হাতে গ্রেফতার হন, বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ১৭ নভেম্বর আসানসোল জেলেই, তাঁকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। এই মামলায় ধৃত, অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে আগেই দিল্লি নিয়ে গেছে ইডি। বর্তমানে তিনিও তিহাড় জেলেই রয়েছেন। 


গত বছর ১৯ ডিসেম্বর অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যেতে, ED-র আবেদনে ছাড়পত্র দেয় রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রতর আইনজীবী। একই আর্জি জানানো হয় কলকাতা হাইকোর্টেও।  কিন্তু, কোথাও সুরক্ষাকবচ না মেলায় শেষমেশ, দোলযাত্রার দিনেই দিল্লি যেতে হয় বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতাকে। আর এবার, আদালতের নির্দেশ তিহাড় জেলেই যেতে হল অনুব্রত মণ্ডলকে। ৩ এপ্রিল ফের আদালতে পেশ করা হবে অনুব্রত মণ্ডল এবং হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারীকে।


এদিকে, গরুপাচার মামলায় গতকালই অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে দিল্লিতে তলব করে ইডি। দিল্লিতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল সুকন্য়ার গাড়ির চালক তুফান মিদ্যা, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা কৃপাময় ঘোষকে। সূত্রের খবর, এদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও লেনদেন সংক্রান্ত নথি চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এদিনই অনুব্রত মণ্ডলের পরিচারকের ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট ফ্রিজ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সিউড়ির সমবায় ব্যাঙ্কে বেনামি অ্যাকাউন্টের তদন্তে নেমে এই প্রথম কোনও অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল সিবিআই। অনুব্রত মণ্ডলের পরিচারক বিজয় রজকের নামে খোলা ওই অ্য়াকাউন্টে এখনও ১৫ লক্ষ টাকা রয়েছে, যা তাঁর আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন বলে মনে করছে সিবিআই। এত টাকার উৎস কী? কে ওই টাকা রাখল? তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।সিউড়ির সমবায় ব্যাঙ্কে ৩০০-র বেশি বেনামি অ্যাকাউন্ট খুলে গরুপাচারের কালো টাকা সাদা করার কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে, সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে। 


আরও পড়ুন- বিজেপি-র লোকাল প্রেসিডেন্টের মতো আচরণ, মমতার নিশানায় CBI-ED