বীরভূম: গরুপাচারের টাকা কোথায় কোথায় ছড়িয়েছে?  সেই সূত্রই এখন খুঁজছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অনুমান,  গরুপাচারের (Cow Smuggling) টাকা নামে-বেনামে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে রাখা হয়েছে।


নজরে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট:
এবার সিবিআইয়ের স্ক্যানারে রয়েছে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে একাধিক ব্যাঙ্কের ১৮টি অ্যাকাউন্টে (Bank Account) নজর রয়েছে সিবিআইয়ের (CBI)। ৮টি ব্যাঙ্কে চিঠি পাঠিয়েছে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে দাবি, অনুব্রত, তাঁর মেয়ে সুকন্যা ছাড়াও আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের নামে-বেনামে একাধিক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেই সমস্ত অ্যাকাউন্টের লেনদেন খতিয়ে দেখতে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।


বিপুল সম্পত্তির হদিশ?
সিবিআই সূত্রের খবর, বীরভূম তৃণমূলের (TMC) সভাপতির বিপুল সম্পত্তি রয়েছে। নামে-বেনামে বীরভূম ও কলকাতায় বিপুল সম্পত্তি কেনা হয়েছে। ২০১৫ সালে অনুব্রত ও তাঁর পরিবারের আয় রকেট গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। সিবিআই সূত্রের খবর, সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে চালকল, স্টোন ক্রাশার, জমি, হোটেল, বাড়ি সহ একাধিক সম্পত্তি। ২০১৫-২০১৮ সালের মধ্যে গরুপাচারের টাকার কমিশনে কেনা হয়েছে বিপুল সম্পত্তি। সূত্রের খবর, গরুপাচার মামলায় আদালতে এমনই রিপোর্ট দিয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর, সব সম্পত্তি মূলেই গরুপাচারের টাকা রয়েছে বলে মনে করছে সিবিআই। একাধিক চালকল, জমি ছাড়াও ফার্ম হাউস, রিয়েস এস্টেট সংস্থাও রয়েছে বলে সূত্রের খবর। 


সম্পত্তি বেড়েছে অনুব্রত-ঘনিষ্ঠদের:
সিবিআইয়ের দাবি, অনুব্রতর (Anubrata Mondal) পরিবার ও ঘনিষ্ঠদের নামেও রয়েছে একাধিক সম্পত্তি। বোলপুরের নীচুপট্টি এলাকায় নিজের বাড়ি ছাড়াও একাধিক চাল কল, রিয়েল এস্টেট সংস্থা ও কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণ সংস্থার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অনুব্রতর স্ত্রী, কন্যা, এমনকি ঘনিষ্ঠদের নাম। বোলপুরে রয়েছে ফার্ম হাউস। শুধু তাই নয়, হাটসেরান্দি গ্রামে অনুব্রতর নিজের প্রাসাদোপম পৈতৃক বাড়ি ছাড়াও বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির ঘনিষ্ঠ, বোলপুর পুরসভার কর্মী বিদ্যুৎবরণ গায়েনের তিন-তিনটি বাড়ি ও একাধিক সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। এর আগেই অনুব্রত ও তাঁর পরিবারের নামে মিলেছে প্রায় ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট, দাবি সিবিআইয়ের। এই সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির আয়ের উত্স কী, আপাতত সেদিকেই নজর সিবিআইয়ের।


ফের চালকলে হানা:
ভোলে ব্যোম চালকলের পর এবার শিবশম্ভু চালকলে হানা দিল সিবিআই। এফসিআইয়ের আধিকারিকদের নিয়ে হানা সিবিআইয়ের। 


প্রশ্ন করতেই দৌড়:
অনুব্রত-চিকিত্সা বিতর্কের পর এই প্রথম প্রকাশ্যে দেখা গেল বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মুকে। সোমবার সকালে হাওড়া-আজিমগঞ্জ গণদেবতা এক্সপ্রেস থেকে বোলপুর স্টেশনে নামা মাত্র তাঁকে অনুব্রতর বাড়িতে সরকারি চিকিত্সক পাঠানো নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। কার্যত উল্টোদিকে দৌড়ে ফের ট্রেনে উঠে পড়েন বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ৬-১০ অগাস্ট ছুটিতে ছিলেন সুপার। অনুব্রতর-চিকিত্সা বিতর্ক শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি প্রকাশ্যে আসেননি। গত শুক্রবার হাসপাতালে যোগ দেন বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার।


আরও পড়ুন: 'হিংস্র হয়ে উঠছে তৃণমূল', অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মারার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিলীপের