কৌশিক গাঁতাইত, আসানসোল: গরুপাচারকাণ্ডে আসানসোলের সিবিআই আদালতে পিছোল অনুব্রত-মামলার শুনানি। ইডি-র মামলায় দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি। গরুপাচার মামলায় এ দিন আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে ভার্চুয়ালি পেশ করার কথা ছিল অনুব্রতকে। দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রতর শুনানি জুলাই পর্যন্ত পিছোনোয় এদিন আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে আসেননি তৃণমূল নেতার আইনজীবী। অন্যদিকে, নেটওয়ার্ক-সমস্যার কারণে আজ তিহাড় জেলে বন্দি সায়গল হোসেনকেও ভার্চুয়ালি পেশ করা যায়নি। অনুব্রত ও সায়গলের পরবর্তী শুনানি ২৭ এপ্রিল। 


আপাতত তিহাড় জেলেই থাকতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। গরুপাচার মামলায় দিল্লি হাইকোর্টে প্রায় ৪ মাস পিছিয়ে গেছে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির জামিন-আবেদনের শুনানি। পরবর্তী শুনানি ২৭ জুলাই। এদিন দিল্লি হাইকোর্টে বিচারপতি দীনেশ শর্মার এজলাসে অনুব্রতর আইনজীবীরা জানান, দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার পর, তাঁরা দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। জামিনের বিরোধিতা করেন ইডি-র আইনজীবী। ইডি-র অভিযোগের প্রেক্ষিতে চার সপ্তাহের মধ্যে অনুব্রতর আইনজীবীকে তাঁর বক্তব্য জানাতে বলেন বিচারপতি। এর আগে আসানসোল জেলে ফেরত যেতে চেয়ে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন জানান অনুব্রত। ৩ এপ্রিল সেই আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা। 


তিহাড় জেল থেকে আবার আসানসোল জেলে ফিরতে চাইছেন অনুব্রত মণ্ডল। রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে এনিয়ে আবেদন করেছেন তিনি। আগামী সপ্তাহে, এই আবেদনের শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে আদালতে। 


তিহাড় জেল থেকে আবার আসানসোল জেলে ফিরতে চাইছেন অনুব্রত মণ্ডল। এই মর্মে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে আবেদন করেছেন তিনি। দীর্ঘ টালবাহানার পর, অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে দোলের দিন, অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যেতে পেরেছিল ইডি। ২১শে মার্চ,ইডি-র হেফাজত শেষে, তিহাড় জেলে ঠাঁই হয় অনুব্রত মণ্ডলের।
কিন্তু, সেখানে ৪ দিন কাটতে না কাটতেই, আবার আসানসোল জেলে ফেরার জন্য দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে, আবেদন করলেন অনুব্রত মণ্ডল। সাত পাতার সেই আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের ED-হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়েছে। দিল্লিতে তদন্তের কোনও প্রক্রিয়া আর কিছু বাকি নেই। ED অনুব্রত মণ্ডলের বয়ান রেকর্ড করতে চাইলে, আসানসোল জেলেই তা হতে পারে। 


এর আগেও তো আসানসোল জেলে এসে তারা জেরা করেছে। আসানসোলের CBI আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের একটি মামলা চলছে। ৩১ মার্চ সেই মামলার শুনানি রয়েছে। সেই কারণেই অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল জেলে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আসানসোল জেলে বন্দি থাকাকালীন, বারবার অনুব্রত মণ্ডলকে বিশেষ সুবিধে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। জেলে বসে অনুব্রত দল চালাচ্ছেন বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূলেরই বীরভূম জেলার কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ। 


এই প্রেক্ষাপটে, আসানসোল জেল সুপারকে দিল্লিতে ED-র অফিসে তলব করা হয়েছে। তার আগে, অনুব্রত মণ্ডলের আসানসোল জেলে ফেরার আবেদনকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। আগামী সপ্তাহে, অনুব্রত মণ্ডলের আবেদনের শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে। এর মধ্য়েই শনিবার গরু পাচারকাণ্ডে দিল্লির ইডি দফতরে হাজিরা দেন সিউড়ি থানার IC শেখ মহম্মদ আলি।