আবীর ইসলাম, বীরভূম :  বাড়ির মালিক সিবিআই হেফাজতে। রয়েছেন নিজাম প্যালেসে। বীরভূমের বোলপুরে নিচুপটি এলাকায় অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি এখন ফাঁকা। 


শুনশান কেষ্টর বাড়ি
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অনুব্রত মণ্ডল বাড়িতে থাকলে রাস্তায় গাড়ি, মোটরবাইকের ভিড় লেগে থাকত। বিভিন্ন জায়গা থেকে সাক্ষাত্‍প্রার্থীরাও আসতেন। আজ সকালে সেই বাড়ির চত্বর পুরোপুরি ফাঁকা। শুধু কয়েকজন পুলিশ কর্মী রয়েছেন পাহারায়।


গরুপাচার মামলায় CBI-এর হাতে গ্রেফতার দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা, বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।  বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে অনুব্রতর বাড়ি ঘিরে তাঁকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তাঁকে ১০ দিনের CBI হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন আসানসোলের CBI আদালতের বিচারক।


এর আগে অনুব্রত মণ্ডলকে দশবার তলব করেছিল CBI। তার মধ্যে ন’বারই অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা দেননি তিনি। এরপর আর দেরি করতে রাজি ছিলেন না CBI। তারপরই অনুব্রতর গড় থেকে তাঁকে নাটকীয় গ্রেফতারি করা হয়। তারপর থেকেই খাঁ খাঁ করছে বীরভূমের বাড়িটা । 
বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal Arrested) গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর দরজাতেই হাজির হল অবলা প্রাণী। বাড়ির দরজা তখন বন্ধ। বাইরে থেকে তালা ঝুলতে দেখা না গেলেও, ভিতর দেখে বন্ধ করে রাখা ছিল বলে ঠাহর হয়। তার সামনেই খানিক ক্ষণ থম মেরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় একটি গরুকে। এবিপি আনন্দের ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই দৃশ্য। ভিতর থেকে সেই সময় দরজা বন্ধ ছিল বলেই ঠাহর হয়। দরজার পাশের দেওয়ালে অনুব্রতর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়কাল, বিধি লেখা কাগজ সেঁটে রাখা ছিল। তাতে লেখা, ‘জেলা সভাপতির বাড়িতে সাক্ষাৎ করার জন্য কেউ ভিড় করবেন না। সাক্ষাৎ করার জন্য জেলা পার্টি অফিসে বেলা ৩টে থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত যোগাযোগ করুন’।


গরুপাচার মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার অনুব্রত


গরুপাচার মামলায় অনুব্রতর গ্রেফতারি আর তার পর পরই তাঁর দরজায় গরুর আগমন, তার নানা ব্যাখ্যাও উঠে এসেছে। কটাক্ষের সুরে বিরোধীরা বলেছেন, পাচারকারীর চোখরাঙানি নেই, তাই গরুও নিরাপদে হাওয়া খেতে বেরিয়েছে বোলপুরের রাস্তায়। ‘পাচারকারী’ অুব্রত থাকাকালীন খুঁটিতে বাঁধা পড়ে থাকতে হতো, এখন গরুর দল মুক্ত বলেও কটাক্ষ করেছেন কেউ কেউ।