নয়াদিল্লি : হোলির ( Holi 2023 )  ছুটি থাকা সত্ত্বেও, দিল্লির সদর দফতরে অনুব্রত মণ্ডলকে ( Anubrata Mondal ) জেরা শুরু ইডি-র ( ED ) । দুপুরে মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়া হল রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে । বিচারকের নির্দেশে রোজই তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা হবে। তাঁর স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই আদালতের নির্দেশ অনুসারে কলকাতা থেকে আকাশপথে তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। 


 অনুব্রতর কাছ থেকে কী জানতে চাইবে ED


সূত্রের খবর, অনুব্রতর কাছ থেকে মূলত টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চাইবে ইডি। কয়েকবছরের মধ্যে কীভাবে রকেটের গতিতে অনুব্রতর সম্পত্তি বেড়েছে, টাকা কোথা থেকে এসেছে, রাজনৈতিক নেতা অনুব্রত মণ্ডলের রোজগারই বা কী, এসবই জানতে চাইবেন ইডি-র তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, অনুব্রত ও তাঁর মেয়ে সুকন্যার রাইস মিলের অ্যাকাউন্টে কীভাবে কোটি কোটি টাকা এল, তা জানতে চাওয়া হবে। পাশাপাশি, অনুব্রতর পরিচারক বা কর্মী, যাঁরা কয়েক হাজার টাকা বেতন পান, তাঁদের অ্যাকাউন্টে কীভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা এল, সেটাও ইডি-র প্রশ্ন। অনুব্রত-ঘনিষ্ঠদের বয়ানকে সামনে রেখেই আজ বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে জেরা করবেন ইডি-র তদন্তকারীরা। 


গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি


ইডি সূত্রে খবর, গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করা হবে। পাশাপাশি, ইডি হেফাজতে থাকাকালীন প্রতিদিনই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হবে অনুব্রতর। 


 মঙ্গলবার মাঝরাতে সরগরম হয়ে ওঠে দিল্লি। অনুব্রত মণ্ডলকে ঘিরে টানটান নাটক চলে দিনভর। রাতেই অশোক বিহারে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের বিচারক রাকেশ সিংয়ের কাছে অনুব্রতকে ভার্চুয়ালি পেশ করা হয়। ১০ মার্চ পর্যন্ত অনুব্রতকে ( Anubrata Mondal ) ৩ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। আপাতত অপেক্ষা অনুব্রতকে জেরায় নতুন কী তথ্য উঠে আসে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে।     


আইনি টানাপোড়েন চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। অবশেষে দোলের দিনেই, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজতে দিল্লি যেতে হল গরুপাচার মামলায় ধৃত বীরভূমের (Birbhum News) জেলা তৃণমূল (TMC) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। আসানসোল থেকে কলকাতা হয়ে দিল্লি পর্যন্ত সেই যাত্রাপথে সঙ্গী হল বিতর্কও। কটাক্ষও উড়ে এল। 


গত ১৯ ডিসেম্বর অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ায় জন্য ইডি-র আবেদনে, ছাড়পত্র দিয়েছিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। সেই দিন দুপুরেই, অনুব্রতর বিরুদ্ধে একবছর আগে, তাঁকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল কর্মী শিবঠাকুর মণ্ডল।


সঙ্গে সঙ্গে মামলা দায়ের করে পরের দিনই সেই মামলায় অনুব্রতকে সাতদিনের হেফাজতে নেয় পুলিশ। বিরোধীরা অভিযোগ তোলে অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা রুখতেই পরিকল্পনা করে মিথ্যে মামলা দায়ের করানো হয়েছিল শিবঠাকুর মণ্ডলকে দিয়ে। এর পরই গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণে উঠে আসে তৃণমূল নেতা শিবঠাকুর মণ্ডলের করা খুনের চেষ্টার অভিযোগের প্রসঙ্গ।