কলকাতা: অসুস্থ বোধ করায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল অনুব্রত মন্ডলকে। 'বুকে ব্যথা' অনুব্রত মন্ডলের। তারপরেই আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল অনুব্রত মন্ডলকে।
গরুপাচার মামলায় দুই দিন আগেই অনুব্রতকে গ্রেফতার করে ইডি। অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে দিল্লির আদালতে আবেদন জানিয়েছে ইডি।
দিল্লি নেওয়ার তোড়জোড়:
গরু পাচার মামলায় আগেই সিবিআই গ্রেফতার করেছিল অনুব্রতকে। সম্প্রতি তাঁকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তার আগে আসানসোল জেলে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয়, বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। সম্প্রতি এই মামলায় দিল্লিতে অনুব্রতর মেয়েকে তলব করেছিল অনুব্রত। তাঁকে এবং অনুব্রতর চার্টার্ড অ্যাকাউন্টকে তলব করেছিল ইডি। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের সূত্র ধরেই কি গ্রেফতার অনুব্রতকে। সেই তথ্যের উপরে ভিত্তি করেই কি দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি? রইমধ্যে অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ের লটারি প্রাপ্তি নিয়েও নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে।
কী কী প্রশ্ন:
বৃহস্পতিবার অনুব্রত মন্ডলকে আসানসোল জেলে গিয়ে জেরা করতে শুরু করে ইডি। কী কী প্রশ্ন করা হয়েছিল? তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, প্রায় ৪ পাতার প্রশ্নপত্র নিয়ে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। মূলত অনুব্রত মন্ডল এবং তাঁর পরিবারের সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য় জানতেই প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু অনুব্রত প্রশ্নের উত্তরে কিছু না জানানোয় তথ্য গোপনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
গরুপাচারকাণ্ডের তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে সিবিআইয়ের হাতে। সিবিআই সূত্রে দাবি, ২০১৭-র মাঝামাঝি থেকে ২০২১-এর গোড়া পর্যন্ত ৪ বছরে কোটি কোটি নগদ টাকা জমা পড়েছে বীরভূমের ২টি রাষ্ট্রায়ত্ত ও একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে। অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর স্ত্রী ছবি মণ্ডল, মেয়ে সুকন্যা, মেয়ের দুটি সংস্থা, ওই সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনের ৮টি অ্যাকাউন্টে এই চারবছরে মোট নগদ ১৬ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা জমা পড়েছিল ! এই খবর এখনও পর্যন্ত জানতে পেরেছে সিবিআই। খবর সূত্রের। কোটি কোটি টাকা নগদ কেন নেওয়া হয়েছিল, কারা জমা দিয়েছিল, নগদ জমা নেওয়ার ক্ষেত্রে যে নিয়ম থাকে, তা মেনে চলা হয়েছিল কি না, জানতে ৩টি ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের তলব করেছে সিবিআই। খবর সূত্রের।
আরও পড়ুন: বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়কের মুখে পৃথক রাজ্যের দাবি, তীব্র বিরোধিতা তৃণমূলের