পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে, আরও এক বিজেপি বিধায়কের মুখে বাংলা ভাগের দাবি। উত্তরবঙ্গের পর এবার পৃথক রাঢ়বঙ্গের দাবি জানালেন ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা।
গতকাল মুড়াকাটা গ্রামে জনসংযোগের সময় বিজেপি বিধায়ক বলেন, 'রাঢ়বঙ্গের মানুষ বঞ্চিত। তাই পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি ভাল ফল করলে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা-র কাছে পৃথক রাজ্যের দাবি জানাবেন তাঁরা। এর আগে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম-সহ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিকে নিয়ে রাঢ়বঙ্গের দাবি জানান বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
কী বলেছেন বিজেপি বিধায়ক:
বাঁকুড়ার ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা বলেন, 'পঞ্চায়েতে আমরা পশ্চিমবাংলায় ক্ষমতায় এলে, আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমরাও চিঠি আদানপ্রদান করব। রাঢ়বঙ্গ রাজ্যের আবেদন করব।' এর আগে এই দাবি শোনা গিয়েছিল বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ’ মুখে। ফের বিজেপির জনপ্রতিনিধির মুখে শোনা গেল জঙ্গলমহলকে নিয়ে পৃথক রাঢ়বঙ্গ রাজ্য গঠনের দাবি। শনিবার ওন্দা থানার মুড়াকাটা গ্রামে জনসংযোগমূলক প্রচারে বেরিয়েছিল বিজেপি। সেখানেই অমরনাথ বলেন, 'আজ এখানে লক্ষ লক্ষ ছেলে আজকে বিভিন্ন রাজ্যে কাজে চলে যাচ্ছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, পশ্চিমবাংলা আমাদের একনম্বর স্থানে আছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বলব, গত কয়েকদিন আগে আমরা যে রাঢ়বঙ্গ, আমরা যে আলাদা রাজ্যের দাবি করেছিলাম বঞ্চনার প্রতিবাদে। বঞ্চনার যে শিকার, এই বাঁকুড়া জেলা, পুরুলিয়া জেলা, মেদিনীপুর জেলা, ঝাড়গ্রাম জেলা, আজকে বীরভূম, সর্বত্র আমরা বঞ্চনার শিকার। তাই এই এলাকার সচেতন মানুষ, সেই মানুষদের কাছে আবেদন করব, এই বাঁকুড়া জেলা এবং রাঢ়বঙ্গকে আপনারা সমর্থন করুন, আমাদের হাতকে শক্ত করুন, আমরা যাতে লড়াই করে আমাদের দাবিদাওয়া আদায় করতে পারি।'
পাল্টা তোপ তৃণমূলের:
বাঁকুড়া তৃণমূলের সহ সভাপতি শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'মানুষ কখনই বাংলা ভাগ চায় না। দক্ষিণবঙ্গ তথা বাঁকুড়া জুড়ে উন্নয়ন হচ্ছে। ওনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। নিজেরা সাংসদ বা বিধায়ক হিসেবে কোনও উন্নয়ন করেনি। এখন সেসব ঢাকতে এই কথা বলছে।' তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, 'বিধানসভা ভোটে গো-হারা হেরে, বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি।'
গত লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে ভাল ফল করেছিল বিজেপি। কিন্তু বিধানসভা ভোটে আবার উলোটপুরাণ হয়! এবার সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে ফের রাজ্য ভাগ তরজা।
আরও পড়ুন: 'বুকে ব্যথা' অনুব্রতর, নিয়ে যাওয়া হল আসানসোল জেলা হাসপাতালে