বিজেন্দ্র সিংহ, সৌভিক মজুমদার, নয়াদিল্লি : গরুপাচার মামলায় জামিন অনুব্রত মণ্ডলের। সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। গরুপাচার মামলায় তিহাড়ে বন্দি আছেন অনুব্রত। তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে, না হলে জামিন বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
গ্রেফতারির পর প্রথম দিকে তৃণমূলের কর্মসূচি এবং জেলার বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রচার থেকে বাদ পড়ে কেষ্টর ছবি। এমনকী গ্রেফতার হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম বীরভূম সফরের ব্যানার বা পোস্টারে দেখা যায়নি অনুব্রতর ছবি। কিন্তু, লোকসভা ভোটের আগে বীরভূমে ফিরে আসে একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার ছবি। তাঁর অনুগামীরা বিরাট আকারে যাগয়জ্ঞও করেন।
এরই মধ্যে বিভিন্ন সভায় তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অনুব্রত মণ্ডলের নাম টেনে আনেন ভাষণে। এমনকী লোকসভা ভোটের আগে দলীয় বৈঠকে দলনেত্রীর মুখে আসে অনুব্রত মণ্ডলের কথা। ঘনিষ্ঠ মহলের খবর, মমতা নাকি বলেন, 'বীরভূম জেলা সংগঠনে কেষ্টর (অনুব্রত মণ্ডল) অবদান আছে। সেই অবদানকে অস্বীকার করার উপায় নেই। ওকে ভুলে যাওয়া যাবে না। ওঁর ঘনিষ্ঠ লোকজনকে কাজে লাগাতে হবে। বিনা কারণে ওকে আটকে রাখা হয়েছে। কেষ্ট (অনুব্রত মণ্ডল) ফিরে এলে ওর জায়গা ফেরত পাবে।'
তাহলে কি এবার সেই জায়গা ফিরে পাওয়ার রাস্তাতেই এক পা এগিয়ে গেলেন 'বীরভূমের বাঘ'? ED-র দায়ের করা মামলায় অনুব্রতর জামিনের আবেদন এখনও ঝুলে আছে হাইকোর্টে। ফলে CBI-এর মামলায় জামিন পেলেও, জেল থেকে মুক্তি হচ্ছে না অনুব্রতর।
যে এনামুল হককে গরু পাচারের মাস্টারমাইন্ড বলেছিল CBI, তিনি জামিন পেয়েছেন। অন্য অভিযুক্ত BSF-এর প্রাক্তন কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারও জামিন পেয়েছেন। কিন্তু, প্রায় ৩ বছর ধরে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল। তবে এখনই বীরভূমের সূর্যোদয় সম্ভবত দেখে উঠতে পারবেন না তিনি।
অন্যদিকে, ২০২৩ সালে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে গরু পাচার মামলাতেই গ্রেফতার করে ইডি। গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে অনুব্রত মণ্ডলের নামে প্রচুর জমি, চালকল, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছিল। যার মধ্য়ে অনেকগুলিই ছিল সুকন্যা মণ্ডলের নামে। সুকন্য়ার অ্য়াকাউন্টে কোটি কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটেরও হদিশ মেলে বলে ইডি সূত্রে দাবি। সেই মামলায় সুকন্যা এখনও তিহাড়েই।
আরও পড়ুন :