আবীর ইসলাম, বীরভূম : সুপার মুখ খুলতেই ফের বিস্ফোরক অনুব্রতর বাড়িতে যাওয়া চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী । অনুব্রত-চিকিত্সা বিতর্কে ফের সুপারকেই কাঠগড়ায় তুললেন চিকিৎসক। সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানালেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুরোধকে তো নির্দেশ হিসেবেই ধরব’ ! 



'প্রোটোকল মেনে কেন কাজ হল না?’ 
চিকিৎসক চন্দ্রনাথ দাবি করেন, ‘সুপার বলেছিলেন মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে, তাহলে তো মনে হওয়া স্বাভাবিক যে হাসপাতালের ডিউটিতেই সেখানে যাচ্ছি। প্রাইভেট প্র্যাকটিসে নয় ! ' তিনি প্রশ্ন তোলেন, 'হাসপাতালের প্যাড না ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুপারের যুক্তি মেনে নিলেও, কেন ব্যবহার করা হল না হাসপাতালের সিল ? প্রোটোকল মেনে কেন কাজ হল না?’ 

‘সুপার জিজ্ঞেস করেছিলেন আমার ছুটি কিনা'
শনিবার বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, ‘আরও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমি এই প্রশ্ন রাখছি, কেন নিয়ম মেনে কাজ হল না। ’ তিনি আগেও বলেছিলেন, আরও একবার বললেন, ‘সুপার জিজ্ঞেস করেছিলেন আমার ছুটি কিনা, তারপর বলেন অনুব্রত অসুস্থ, তাঁর বাড়িতে যেতে হবে’ । 


তিনি অবশ্য বর্তমান সরকারের অধীনে যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভাল হয়েছে, সেই কথা বলেন বারবার। সেই সঙ্গে অভিযোগ করেন., ‘কিন্তু কিছু রাজনৈতিক নেতার কায়েমি স্বার্থের জন্য মানুষ সুফল পাচ্ছে না’  । ‘তদন্তের সময় অনুব্রতর বাড়ি যাওয়া উচিত হবে কিনা জিজ্ঞেস করেছিলাম। সুপার হাসপাতালের সিল কেন ব্যবহার করতে দিলেন না কেন? সিবিআই আমায় জিজ্ঞেস করলে আমি কী জবাব দেব?’


অনুব্রতর চিকিৎসা বিতর্ক মাথাচাড়া দিতেই সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছিলেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. চন্দ্রনাথ অধিকারী। তিনি বলেন, ' হাজিরা দেওয়ার মতো অবস্থাতেই আছেন অনুব্রত।'  হাসপাতালের বদলে সুপারের নির্দেশেই অনুব্রতর বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। ' অনুব্রত প্রভাবশালী, উনি বললে না লিখে কি পারি? ' চাপের অভিযোগ তুলে মুখ খোলেন বেডরেস্ট লেখা চিকিৎসক। তিনি দাবি করেন সুপারের নির্দেশেই তিনি নেতার বাড়ি যেতে বাধ্য হন। আর হাসপাতালের প্যাড না থাকার দরুণ সাদা কাগজেই তাঁকে প্রেসক্রিপশন লিখতে বলে দেওয়া হয়।