ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা:  সিবিআই (CBI) দফতরে না গিয়ে গতকালই এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম (Birbhum) জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। আজ তাঁর চিকিত্‍সার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসছে মেডিক্যাল বোর্ড (Medical College)।  হাসপাতাল সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের অক্সিজেন নির্ভরশীলতা কিছুটা কমলেও বুক ধড়ফড়ানি কমেনি। এই অবস্থায় বাড়িতে তাঁর চিকিত্‍সা সম্ভব, না কি, হাসপাতালে রেখে চিকিত্‍সা করতে হবে, সেই বিষয়টিও মেডিক্যাল বোর্ডে আলোচনা হবে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যে এসএসকেএম-এ তাঁর যে সব পরীক্ষা হয়েছে, তার রিপোর্ট খতিয়ে দেখেছেন RMO।  


প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতেই বীরভূম থেকে কলকাতায় পৌঁছে গেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বুধবার সকালে নির্ধারিত সময়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু, শেষ মুহূর্তে সিবিআইয়ের কাছে না গিয়ে, এসএসকেএমে ভর্তি হয়ে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল। প্রাথমিকভাবে তাঁকে অক্সিজেন ও সি-প্যাপ দেওয়া হয়। 


আরও পড়ুন, অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে কী করণীয়? দিল্লির সদর দফতরের মতামতের অপেক্ষায় সিবিআই


বুধবারও CBI দফতরে যাননি অনুব্রত মণ্ডল। নিজাম প্যালেসের বদলে ভর্তি হন SSKM হাসপাতালের উডবার্ন ব্লকে। গরু পাচার মামলায় এখনও পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলকে ৫ বার তলব করেছে CBI। ৫ বারই হাজির হলেন না তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি। গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে CBI তলবের পর, গ্রেফতারির আশঙ্কায়, রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। ১১ মার্চ তাঁর রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।                  


আদালতের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই বলে জানান বিচারপতি। শুনানিতে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন, এই মামলায় আবেদনকারীর আশঙ্কার কোনও কারণ আছে বলে আদালত দেখতে পাচ্ছে না। তাঁকে (অনুব্রত) সাক্ষী হিসেবে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সিবিআই-এর হাত আদালত কেন বেঁধে দেবে? প্রশ্ন করেন বিচারপতি মান্থা। তিনি বলেন, সিবিআই বলেই যে তারা ড্রাগন এবং গিলে খেয়ে নেবে এই ভাবনা স্বাস্থ্যকর নয়।