বিজেন্দ্র সিংহ, নয়া দিল্লি: আপাতত কেষ্টর কষ্ট কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। তিহাড় জেলেই থাকতে হবে গরুপাচার মামলায় ধৃত বীরভূমের তৃণমূল সভাপতিকে।  বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাঁর জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট।


অভিযুক্ত ঠিক করতে পারে না, সে কোন জেলে থাকবে। তিহাড়কেই ঘরবাড়ি ভাবতে শুরু করুন। আরও ৩-৪ বছর থাকতে হতে পারে জেলে। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে অনুব্রত মণ্ডলের আসানসোল জেলে ফেরত যাওয়ার আবেদনের শুনানিতে মন্তব্য ইডি-র আইনজীবীর। 


গত বছরের ১৭ নভেম্বর, আসানসোল জেলে অনুব্রত মণ্ডলকে প্রায় ৫ ঘণ্টা জেরার পর গ্রেফতার করে ইডি। দীর্ঘ আইনি টনাপোড়েনের পর দোলের দিন অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে আসে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ২১শে মার্চ, ইডি-র হেফাজত শেষে, আপাতত তিহাড় জেলে ঠাঁই হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। এরই মধ্যে, আসানসোল জেলে ফিরতে চেয়ে আবেদন জানান বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি। সোমবার, দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে ছিল সেই মামলার শুনানি। 


এদিন, অনুব্রতর আইনজীবী সওয়াল করেন, ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ। তাঁর দিল্লিতে থাকার আর কোনও প্রয়োজন নেই। বাংলায় সিবিআই তদন্ত অগ্রগতির পথে। এখানে শুধু একদিন একদিন করে, অনুব্রতর জেল হেফাজত বাড়ানো হচ্ছে। তাঁকে আসানসোল জেলে ফেরানো হোক। ইডির যদি প্রয়োজন হয়, তিনি আবার তিহাড় জেলে ফিরে আসবেন।  


পাল্টা, ED-র আইনজীবী বলেন, তিহাড় জেলই এখন অনুব্রতর ঘর-বাড়ি। অভিযুক্ত কী করে ঠিক করতে পারেন, তিনি কোথায় থাকবেন? তিনি এখন এই কোর্টের (রাউস অ্য়াভিনিউ কোর্ট) নির্দেশে তিহাড়ে আছেন। অনুব্রতর আবেদনের প্রেক্ষিতে নয়, যদি আসানসোল কোর্ট চায়, তবেই তাঁকে সেখানে পাঠানো হবে।


আরও পড়ুন, বিশেষ কাজের আগে দই খেয়ে বেরোন? শুভর বদলে অশুভ প্রভাব শরীরে?


কোর্টের ওয়ারেন্ট ইস্যু হওয়ার পরও তিনি তিহাড় যাত্রা আটকাতে সবরকম চেষ্টা করেছেন। হাইকোর্টে গেছেন, সুপ্রিম কোর্টে গেছেন, দুবরাজপুরের পুরনো একটি মামলায় পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে। যদিও শেষ পর্যন্ত তাঁকে তিহাড়ে আসতেই হয়েছে। 


কেন তিনি সেখানে (আসানসোল জেলে) ফিরতে চাইছেন?  ৩-৪ বছরের জন্য (তিহাড়কেই) আপনার ঘরবাড়ি করে নিন। দু’পক্ষের সওয়াল শুনে রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারক। বৃহস্পতিবার এই মামলার রায়দান। 


এদিকে, দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রতর জামিনের মামলার শুনানি ২৭ শে জুলাই। ১২ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে অনুব্রতর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারিকেও। 


অন্যদিকে, এদিন মেয়ের গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুললেন অনুব্রত মণ্ডল। সুকন্যাকে গ্রেফতার করা অন্যায় হয়েছে। এটা খুব বাহাদুরির কাজ হয়নি। মেয়ের গ্রেফতারের পর এই প্রথম মুখ খুললেন অনুব্রত।