কলকাতা: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) এ বার আরও তিনজনকে দিল্লিতে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরক্টরেট (Enforcement Directorate)। আগামী ২০ মার্চের মধ্যে দিল্লিতে হাজিরার নির্দেশ ইডি-র। দিল্লিতে তলব করা হয়েছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) নেতা কৃপাময় ঘোষকে। অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের গাড়ির চালক তুফান মিদ্যাকেো ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। এ ছাড়াও, তলব করা হয়েছে লাভপুর কলেজের নন টিচিং স্টাফ এবং রাঁধুনি বিজয় রজককে। ঘটনাচক্রে এঁদের মধ্যে দু'জনকে দোলের দিন অনুব্রতর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। শক্তিগড়ের হোটেলে এক টেবিলে বসে অনুব্রতর সঙ্গে প্রাতরাশ সারেন কৃপাময় এবং তুফান।


কৃপাময়, তুফান এবং বিজয়কে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে আসার নির্দেশ 


গত ৭ মার্চ, দোলের দিন দিল্লি যাওয়ার সময় আসানসোল থেকে কলকাতার পথে শক্তিগড়ে প্রাতরাশ সারেন অনুব্রত। সেখানে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা কৃপাময় এবং সুকন্যার গাড়িচালক তুফানের সঙ্গে এক টেবিলে বসে খাওয়া-দাওয়া করেন অনুব্রত। বেশ কিছু ক্ষণ কথাও বলেন। কৃপাময়, তুফান এবং বিজয়কে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছে ইডি। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যত্র টাকা পাঠাতে ওই   তিনজনের অ্যাকাউন্ট বিভিন্ন সময় ব্যবহার হয়েছে।


অন্য দিকে, ২০ মার্চের মধ্যে ফের সুকন্যাকে দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। এর আগে ডাকা হলেও, দিল্লিতে ইডি-র দফতরে হাজিরা দেননি অনুব্রতর  মেয়ে সুকন্যা। সূত্রের খবর, হাজিরার জন্য ইডির কাছে আরও সময় চান তিনি। তাতেই ২০ মার্চ পর্যন্ত তাঁকে সময় দিয়েছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, মেয়ের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে অনুব্রতকে। 


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee : চাকরিচ্যুতদের পক্ষে সওয়াল, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে হাইকোর্টে বিকাশ ভট্টাচার্য


এর আগে, দিল্লিতে অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে দফায় দফায় জেরা করে ইডি। তাঁকে ছ'দিনের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।  মামলা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে কেঁদে ফেলেন মণীশ। জানান, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হয়ে কাজ করাটাই তাঁর ভুল হয়েছে। তবে ইডি সূত্রে খবর, অনুব্রতর কোটি কোটি টাকার হালহকিকত, সব জানেন মণীশ। 


অনুব্রতর কোটি কোটি টাকার হালহকিকত জানেন মণীশ!


আদালতে ইডি জানায়, মণীশ অনুব্রতর হিসাবরক্ষক। অনুব্রতর হয়ে তিনিই এই অপরাধকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। অনুব্রতর হয়ে একাধিক ভুয়ো সংস্থা তৈরির পাশাপাশি, কর্মীও নিয়োগ করতেন তিনি। শুধু তাই নয়, ইডি-র দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে অনুব্রত জানিয়েছেন, টাকা তছরুপের সঙ্গে মণীশ জড়িত। তিনি সব জানেন। দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের হয়েও তিনি আর্থিক দুর্নীতি করেছেন।