কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান : রামপুরহাট, ইলামবাজারের পর এবার পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম। অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে ফের হুমকি তৃণমূল নেতার। ভাইরাল ভিডিও ঘিরে বিতর্ক। শুধু বর্ধমানই নয়, বীরভূমেও একই রকম প্রতিধ্বনি অনুব্রত অনুগামীদের মুখে। এক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার হুমকি,  ‘বিরোধীরা গুড়-বাতাসা বিলি করলে পিঠে চড়াম চড়াম ঢাক বাজবে’ ।

  


' আমাদের নেতারাই এক-একজন অনুব্রত মণ্ডল ' 
আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি অরূপ মিদ্যা বিজেপি কর্মীদের কার্যত হুমকি দিয়ে বলেন, ' যারা বোম ফাটিয়ে বিজয় উল্লাস করছে, আমাদের ছেলেদের বলে দিলে তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। পুলিশকে বলে দিয়েছি, সরকারটা এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের। উনি যে বীজ বপন করেছেন তাতে আমাদের নেতারাই এক-একজন অনুব্রত মণ্ডল। আমাদের এলাকায় লাখো লাখো অনুব্রত তৈরি রয়েছে। ' তৃণমূল চোর, তোলাবাজদের দল, তাদের নেতার কথাতেই তা প্রমাণিত, পাল্টা কটাক্ষ বিজেপির। তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।

'পিঠে চড়াম চড়াম ঢাক বাজবে'
বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্যর মুখেও হুঙ্কার , ‘বিরোধীরা অশালীন কথা বললে পিটিয়ে মাজা ভেঙে দেবে তৃণমূল’ । ইলামবাজারে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দুলাল রায়ের হুমকি, জেলায় জেলায় অনুব্রতর ‘উত্তরসূরী’ আছে। নেতা অনুব্রত গ্রেফতার হতে তাঁরা বরং দমেননি, বরং সুর চড়িয়ে তাঁদের হুঙ্কার ' বিরোধীরা গুড়-বাতাসা বিলি করলে পিঠে চড়াম চড়াম ঢাক বাজবে’ । 


পাল্টা বিরোধীদের হুমকি 


' দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল নেতাদের টুঁটি চেপে টাকা আদায় করুন। না হলে গয়ারাম নেতারা পালিয়ে যাবে। ' বাঁকুড়ার ওন্দার জামজুড়ি গ্রামে  কর্মিসভায় বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখার। ভিডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। তৃণমূলের দাবি, উস্কানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন বিজেপি বিধায়ক। 'তৃণমূলের ওপর থেকে নিচ, সকলেই চোর', পাল্টা আক্রমণ ওন্দার বিধায়কের। 


শুক্রবার, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর দুর্নীতি ইস্যুতে কলকাতায় বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস ও বামেরা। বিধান ভবনের সামনে থেকে গরু নিয়ে মিছিল করে কংগ্রেস। মিছিলের সামনে, একজনকে মুখোশ পরিয়ে, অনুব্রত মণ্ডলের  সাজানো হয়।  বিলি করা হয় গুড়-বাতাসা-নকুলদানা। অন্যদিকে কালীঘাট থেকে গড়িয়াহাট পর্যন্ত মিছিল করে সিপিএমের ছাত্র ও যুব সংগঠন। ভোটের আগে হুমকি-হুঁশিয়ারি দিতে গিয়ে, গুড়-বাতাসা থেকে নকুল দানার মতো শব্দবন্ধ ব্যবহার করতেন অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার কংগ্রেসের মিছিল থেকে বিলি করা হয় গুড়, বাতাসা আর নকুলদানা। এমনকী বাসে উঠে যাত্রীদের মধ্যেও, বাতাসা-নকুলদানা বিলি করতে দেখা যায় কংগ্রেস কর্মীদের।