নানুর : দীর্ঘ ১৮ মাস তিহাড় জেলে বন্দি থাকার পর দিনকয়েক আগে বীরভূমে নিজের বাড়িতে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কবে পুনরায় আগের মতো রাজনীতির ময়দানে ফিরবেন তিনি। সেপ্রসঙ্গও খোলসা করে দিয়েছেন তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। তিনি জানিয়েছেন, পুজোটা যাক, কালীপুজোর পর ব্লকে ব্লকে যাব। মিটিং করব। এই পরিস্থিতিতে এবার পুজোর আগে বীরভূমের নানুরে হাটসেরান্দিতে গ্রামের বাড়ি থেকে ঘুরে এলেন অনুব্রত। দুর্গাপুজোর আগে গ্রামের বাড়ির সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে নিয়ে যান তিনি। তাঁর উপস্থিতিতে জনসমাগম হয়। পুজোয় তিনি সেখানে ফিরবেন বলে জানান। তবে, গ্রামের বাড়িতে খাওয়ানো দাওয়ানোর মতো আয়োজন করবেন না বলেও জানিয়ে দেন। কারণ, হিসাবে তিনি তাঁর আর্থিক অবস্থার কথা বলেন। 


দীর্ঘদিন পর নিজের গ্রামের বাড়িতে ফিরে স্বভাবতই একটু আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন অনুব্রত। তিনি বলেন, 'নিজের বাড়ি তো একটা আলাদ জিনিস। পৈতৃক বাড়ি। আমার বাবার জন্ম এখানে। আমার দাদুর জন্ম এখানে। আমার বাবার দাদুর জন্ম। পৈতৃক বাড়ির তো একটা...।' পুজোর ৪দিন কীভাবে কাটাবেন ? এ প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল নেতা বলেন, 'আমি মায়ের কাছে আসব ১২টা- সাড়ে ১২টায়। মা-কে প্রণাম করব। মায়ের পুজো দেব। চলে যাব।" তবে এবার আর খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করতে পারছেন না তিনি। অনুব্রত বলেন, 'না, এবারে আমি খাওয়ানো-দাওয়ানো... আমার আর্থিক কন্ডিশন সেরকম নয়। সপ্তমীর দিন ১২টায় আসব। আবার অষ্টমী-নবমী-দশমী।" তাঁকে জানতে চাওয়া হয়, ২ বছর পর গ্রামের বাড়িতে এলেন। পরিবারের সঙ্গে কথা হল ? তাঁর উত্তর, 'আমার তো গরিব মানুষ বেশি। আমি ব্লাড রিলেশনে সম্পর্ক রাখতে চাইছি না।'  


গরুপাচার মামলায় অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর গ্রেফতার হন তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলও। প্রায় দু'বছর দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন অনুব্রত, সুকন্যাও সেখানেই ছিলেন। জামিনে মুক্ত হয়ে একসঙ্গেই দিল্লি থেকে বীরভূমের নিচুপট্টির বাড়িতে ফেরেন তাঁরা। সেখানে অনুব্রতর অনুগামীরা উল্লাসে মজলেও, ঘরে ঢুকে চোখের জল ফেলতে দেখা যায় অনুব্রত এবং তাঁর কন্যাকে। মেয়ের কথা বলতে গিয়ে সাংবাদিক বৈঠকেও কার্যত গলা ধরে আসে অনুব্রতর। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।