কলকাতা : হেফাজতে পাওয়ার পর গতকাল রাত পৌনে তিনটে নাগাদ অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই নিয়ে এল কলকাতায়। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেসে। রাস্তায় গাড়িতে আসার সময় তাঁকে কিছুটা ক্লান্ত দেখিয়েছে।
আজ থেকেই শুরু হবে জেরা
দীর্ঘ সাড়ে ৭ ঘণ্টার যাত্রায় পাশে বসে থাকা সিবিআই আধিকারিকের সঙ্গে মাঝে মধ্যে কথা বলতে দেখা গেলেও, নিজাম প্যালেসে নেমে অনুব্রত সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি। সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে চলে যান ভিতরে। সূত্রের খবর, আজ থেকেই শুরু হবে জেরা।
কী কী জিগ্যেস করা হতে পারে
আজই নিজাম প্যালেসে গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হবেন অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআই সূত্রে দাবি, অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সঙ্গে নিয়মিত কথা হত এনামুল হকের। বীরভূমের ইলামবাজারের গরুর হাটের মালিকের সঙ্গেও কথা হত সায়গলের। সিবিআই আধিকারিকরা জানতে চাইতে পারেন, অনুব্রত এই কারবারের ব্যাপারে কতটা ওয়াকিবহাল ছিলেন? সায়গলের ফোনে তাঁর সঙ্গে এনামুল বা লতিফের কথা হয়েছিল কি না। কথা হয়ে থাকলে, কী কথা হয়েছিল? গরুর কারবারের আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি কী জানেন? মূলত সায়গলের সঙ্গে এনামুল বা লতিফের ফোনে কথোপকথনের থেকে যে সব সূত্র মিলেছে, তা নিয়েই জেরা করা হবে অনুব্রতকে।
ফিরে এল গুড়-বাতাসা থেকে নকুলদানা
অন্যদিকে, গুড়-বাতাসা, নকুলদানা থেকে চড়াম চড়াম ঢাক - সেই শব্দবন্ধগুলো আবার উঠে এসেছে আলোচনায়। বিভিন্ন সময়ে, অনুব্রত মণ্ডলের মুখে শোনা গেছে এইসব শব্দবন্ধ। বৃহস্পতিবার তাঁর গ্রেফতারির পর, বিরোধীরা কোথাও নকুলদানা, বাতাসা বিলি করল, কোথাও ঢাক বাজাল। সারাদিনের রাজনৈতিক চাপানউতোরেও বারবার ফিরে এল গুড়-বাতাসা থেকে নকুলদানা।