প্রকাশ সিন্হা, ব্রতদীপ ভট্টাচার্য ও আবির দত্ত, কলকাতা : দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট, দিল্লি হাইকোর্টের পর 
কলকাতা হাইকোর্ট, কোনও আদালতে মেলেনি স্বস্তি!


পঞ্চায়েত ভোটের ( Panchayat Poll )  মুখে, গরু পাচারকাণ্ডে ( Cattle Smuggling Case) ED-র মামলায় সেই দিল্লিতে যেতেই হল অনুব্রত মণ্ডলকে ( Anubrata Mondal ) । এই পরিস্থিতিতে অনুব্রতকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধী নেতারা। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ ( BJP leader Sajal Ghosh )  বাঁকা সুরে বললেন , ' আজ হলি, কেষ্টকে তো দিল্লিতে যেতেই হবে...'          


কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দিলীপ ঘোষও ( Dilip Ghosh ) । তিনি বলেন, 'ঠান্ডা ছিল বলে ডিসেম্বরে নিয়ে যায়নি, এখন গরম পড়েছে, আরামে গিয়ে থাকতে পারবেন, দিল্লির লস্যি খাবেন, সুখেই থাকবেন। কিন্তু মমতার চিন্তা, বীরভূমের ভোটটা কে করাবেন, তাই আটকানোর চেষ্টা করছেন।'


যদিও এই পরিস্থিতিতেও অনুব্রতর বিরুদ্ধে একটিও কথা বললেন না মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বরং ফের একবার তাঁর মুখে এজেন্সির কার্যকলাপের সমালোচনা। বললেন, ' কোর্টের বিষয় কিছু বলতে চাই না, তবে বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদবে না। বিচার হবেই, এবং সত্য বেরিয়ে আসবে। বিচার ব্যবস্থার উপর ভরসা করি। ভগবান যেমন কোনও অন্যায় করতে পারেন না, তেমনি বিচারক অন্যায় করতে পারেন না, এটা আমি মন থেকে বলতে পারি। এজেন্সি রাজ শেষ কথা বলবে না।'

আরও পড়ুন :


ESI হাসপাতালের বাইরে পার্থকে দিকে উড়ে এসেছিল জুতো, কেষ্টকে দেখে চিৎকার 'গরু চোর', 'গরু চোর'...                         


গত বছর ১১ অগাস্ট, বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে CBI-এর হাতে গ্রেফতার হন, বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ১৭ নভেম্বর, আসানসোল জেলেই, তাঁকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই মামলায় ধৃত, অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে আগেই দিল্লি নিয়ে গেছে ইডি। বর্তমানে তিনি তিহাড় জেলে রয়েছেন।


গত বছর ১৯ ডিসেম্বর, অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যেতে, ED-র আবেদনে ছাড়পত্র দেয় রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। 
সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রতর আইনজীবী। এই আর্জি জানানো হয় কলকাতা হাইকোর্টেও।  কিন্তু, কোথাও সুরক্ষাকবচ না মেলায় শেষমেশ দোলযাত্রার দিনেই দিল্লি গেলেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে। ED সূত্রে খবর, বুধবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে তোলা হতে পারে অনুব্রত মণ্ডলকে।