কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, আশাবুল হোসেন ও শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা : গরু পাচার মামলায় ( Cattle Smuggling Case ) গ্রেফতার হওয়ার ৭ মাস পর অনুব্রত মণ্ডলকে ( Anubrata Mondal )  দিল্লি নিয়ে গেল ইডি ( ED ) । আর রাজ্য় ছাড়ার দিনেও তাঁকে শুনতে হল সেই গরু চোর কটাক্ষ । মঙ্গলবার সকালে আসানসোল জেল থেকে বীরভূমের ( Birbhum ) জেলা তৃণমূল সভাপতিকে আনা হয় জোকা ESI হাসপাতালে। স্বাস্থ্য় পরীক্ষার পর অনুব্রত মণ্ডলকে যখন সেখান থেকে বার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তখনই হাসপাতালের বাইরে দাঁড়ানো কয়েকজন গরু চোর বলে কটাক্ষ ছুড়ে দেন। 


এটা অবশ্য় প্রথমবার নয়, এর আগে কখনও আসানসোল আদালত চত্বরে কখনও আসানসোল জেলা হাসপাতালের বাইরে অনুব্রত মণ্ডলকে লক্ষ্য় করে চোর কটাক্ষ উড়ে আসে। এবার জোকা এএসআই হাসপাতালের বাইরেও তার পুনরাবৃত্তি হল!


এই জোকা ESI হাসপাতালের বাইরেই, নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে লক্ষ্য় করে চটি ছুড়েছিলেন এক মহিলা। যদিও, জুতো পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গায়ে লাগেনি। গাড়িতে লেগে পড়ে যায়। জুতো ছুড়ে সেই শুভ্রা ঘোড়ুই নামে সেই মহিলা বলেন, ' আরও খুশি হতাম ওই জুতোটা যদি ওনার টাকে লাগতো। আমার রাগ, সাধারণ মানুষের প্রত্যেকেরই রাগ, কত মানুষ খেতে পায় না, কত লোককে চাকরি দেবে বলে টাকা নিয়েছে, আর নিয়ে উনি ফুর্তি করছে, ফ্ল্যাট কিনছে। ৫০ কোটি টাকা রাখবে বলে। ' 


এবার সেই জোকা ইএসআই হাসপাতাল চত্বরেই গরু চোর কটাক্ষ শুনতে হল অনুব্রত মণ্ডলকে। তার আগে মঙ্গলবার সকালে, আসানসোল জেল থেকে তাঁকে নিয়ে আসার পর, সেখানে শুদ্ধকরণ অভিযান চালায় বিজেপি। অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে পুলিশের গাড়ি আসানসোল জেল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর, সেখানে জড়ো হন বিজেপির যুব ও মহিলা কর্মীরা।


গোবর জল দিয়ে জেলের সামনের রাস্তা ধোয়ান তাঁরা। নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য় সম্পাদক বাপ্পা চট্টোপাধ্য়ায়। তারপর আসানসোল জেলের সামনে ঢাক বাজিয়ে দোল উৎসব পালন করা হয়। ভোটের আগে অনুব্রত মণ্ডলের গুড়-বাতাসা মন্তব্য় একসময় রাজ্য় রাজনীতিতে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছিল। মঙ্গলবার ইডি যখন অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে গেল, তখনই দিল্লিতে গুড়-বাতাসা বিলি করলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। বাঁকুড়ার বড়জোড়াতও ঢাক বাজিয়ে নকুল দানা, বাতাসা বিতরণ করে বিজেপি। 


অনুব্রত মণ্ডল দিল্লি চলে যাওয়ার পরও, এরাজ্য়ের রাজনীতিতে তরজার কেন্দ্রবিন্দুতে তিনিই!