কলকাতা: সাতসকালেই বোলপুরের (Bolpur) বাড়িতে চলে গিয়েছিল সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। সেখান থেকে অনুব্রতকে নিয়ে সিবিআই ক্যাম্পে চলে যান তাঁরা। তারপর আসানসোল আদালত সেখান থেকে হেফাজতে নেওয়ার পরে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বৃহস্পতিবার নিয়ে আসা হয় কলকাতায় নিজাম প্যালেসে। সূত্রের খবর, এই সময় জুড়ে বাড়ির কোনও লোকের সঙ্গে কথা হয়নি অনুব্রতর। অবশেষে শুক্রবার মেয়ের সঙ্গে কথা বললেন অনুব্রত মন্ডল।


কখন কথা:   
শুক্রবার সিবিআই আধিকারিকদের কাছে অনুব্রত আবেদন করেন যে তিনি মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে চান। সেই আবেদনের পরেই মেয়ের সঙ্গে অনুব্রতর কথা বলিয়ে দেন সিবিআই আধিকারিকরা।


কীভাবে কথা?
মোবাইল ফোনে (Cellphone) মেয়ের সঙ্গে কথা হয় অনুব্রতর। তবে স্পিকার অন করে কথা বলতে হয় বলে সূত্রের খবর। যদিও দুজনের মধ্যে কী কথা হয়েছে, তা জানা যায়নি। অনুব্রতের এক মেয়ে। আগেই মারা গিয়েছেন অনুব্রত মন্ডলের স্ত্রী।    


আরও খোঁজ অনুব্রতর:
গ্রেফতারির পর দলের মনোভাব কী? গ্রেফতারির পর বাইরে প্রতিক্রিয়া কী? এমন সব বিষয়ে চিনার পার্কের বাড়ির কর্মচারীর কাছে জানতে চেয়েছেন অনুব্রত। সিজিও কমপ্লেক্সের ভিজিটার্স রুমে থাকছেন অনুব্রতর চিনার পার্কের বাড়ির কর্মচারী।


দিলীপের তোপ:
গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মন্ডল যখন সিবিআই (CBI) হেফাজতে তখন তা নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি, বারবার বিরোধীদের তোপের মুখে পড়ছে শাসক দল। এদিনই এই ইস্যুতে তৃণমূলকে নিশানা করেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, 'সবে মাত্র দুটো উইকেট পড়েছে। অনেক বেশি উইকেট পড়বে।' তিনি আরও বলেন, 'আমার তো ধারণা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) মন্ত্রী মণ্ডলের বৈঠক (Cabinet Meeting) করতে হলে, জেলের মধ্যে গিয়ে করতে হবে। পার্টির রাজ্য কমিটির মিটিং (Meeting) করলেও জেলের মধ্যে গিয়ে করতে হবে। কারণ, বেশিরভাগ নেতা-এমএলএ-এমপি সব দুর্নীতিগ্রস্ত। সারা বাংলার লোক জানে। সাধারণ মানুষই কোর্টে (Court) গেছে। কোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সেই তদন্তে ধরা পড়েছে। সেজন্য যারা রাজনীতি দেখছেন তাঁদের বলব, মাথাটা ঠিক করুন। কারণ, পশ্চিমবঙ্গের যা দুর্নাম হয়েছে, তার থেকে মুক্তির জন্য এটাই একমাত্র রাস্তা।' 


আরও পড়ুন: 'দলের মনোভাব কী ?' চিনার পার্কের বাড়ির কর্মচারীর কাছে জানতে চাইলেন অনুব্রত