প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : আজই নিজাম প্যালেসে গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হবেন অনুব্রত মণ্ডল ( Anubrata Mondal )। সিবিআই (CBI ) সূত্রে দাবি, অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সঙ্গে নিয়মিত কথা হত এনামুল হকের। বীরভূমের ইলামবাজারের গরুর হাটের মালিকের সঙ্গেও কথা হত সায়গলের।


CBI কী কী জানতে চাইতে পারে
সিবিআই আধিকারিকরা জানতে চাইতে পারেন,



  • অনুব্রত এই কারবারের ব্যাপারে কতটা ওয়াকিবহাল ছিলেন?

  • সায়গলের ফোনে তাঁর সঙ্গে এনামুল বা লতিফের কথা হয়েছিল ? কথা হয়ে থাকলে, কী কথা হয়েছিল?

  • গরুর কারবারের আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি কী জানেন?

  • মূলত সায়গলের সঙ্গে এনামুল বা লতিফের ফোনে কথোপকথনের থেকে যে সব সূত্র মিলেছে, তা নিয়েই জেরা করা হবে অনুব্রতকে। 

    হেফাজতে পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাত পৌনে তিনটে নাগাদ অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেসে। রাস্তায় গাড়িতে আসার সময় তাঁকে কিছুটা ক্লান্ত দেখিয়েছে। দীর্ঘ সাড়ে ৭ ঘণ্টার যাত্রায় পাশে বসে থাকা সিবিআই আধিকারিকের সঙ্গে মাঝে মধ্যে কথা বলতে  দেখা গেলেও, নিজাম প্যালেসে নেমে অনুব্রত সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি। সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে চলে যান ভিতরে।


    গরুপাচার মামলায় বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআই সূত্রে খবর, ফৌজদারি দণ্ডবিধির 41A ধারায় গরুপাচার মামলায় সরাসরি অভিযুক্ত করা হয় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে। বুধবার হাজিরা এড়ানোর পর পরদিন সকাল ৯টা ৪০-এ আদালতের নির্দেশনামা ও মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে বোলপুরের নীচুপট্টিতে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআই অফিসাররা। অনুব্রতর বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাড়িতে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন সিবিআই আধিকারিকরা। বাড়ির সকলের মোবাইল ফোন নিয়ে নেওয়া হয়। তল্লাশির পাশাপাশি, দোতলার ঘরে অনুব্রতকে বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই অফিসাররা। এরপর গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল জেলা সভাপতিকে।

    আরও পড়ুন :

    ' বাংলাকে ভয় দেখানো যাবে না', সিবিআই-ইডির বিরুদ্ধে মিছিল তৃণমূলের