আজ ফের গরু পাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করবে সিবিআই। অনুব্রতর জামিনের আর্জি জানাতে পারেন তাঁর আইনজীবীরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, গত ১৪ দিনে অনুব্রতর সম্পত্তি ও আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত যে সব তথ্য সামনে এসেছে, তা আদালতে পেশ করে অনুব্রতর জামিনের বিরোধিতা করবে সিবিআই। সূত্রের খবর, এই মামলায় নির্দিষ্ট মেয়াদের আগেই চার্জশিট দিতে পারে সিবিআই।
অনুব্রতর বাড়িতে সিবিআই: গরুপাচার মামলার তদন্তে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে গেল সিবিআই। সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর বোলপুরের বাড়িতে যান সিবিআই অফিসাররা। সিবিআইয়ের টিমে ছিলেন এক মহিলা অফিসারও। বাড়িতে উপস্থিত এক পুলিশ কর্মী সাংবাদিকের প্রশ্নে জানান, বাড়িতে সুকন্যা মণ্ডল রয়েছেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, অনুব্রত কন্যার নামে বেনামে কত সম্পত্তি রয়েছে? রাইস মিল কেনার জন্য যে আর্থিক লেনদেন হয়েছে, সে সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন কি না, এ সব নিয়েই বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
অনুব্রত-কন্যাকে জিজ্ঞাসাবাস: গরুপাচার মামলায় সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদে হ্যাঁ অথবা না-য়ে উত্তর। সব জানেন হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি, সিবিআই গোয়েন্দাদের কাছে দাবি অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের। খবর সূত্রের। গতকাল সুকন্যাকে ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, ভোলে ব্যোম রাইস মিল ও অনুব্রত কন্যা সুকন্যা যে দুটি সংস্থার ডিরেক্টর, সেই সংক্রান্ত সমস্ত নথি চেয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সিবিআই সূত্রে খবর, জানতে চাওয়া হয় অনুব্রত কন্যার নামে-বেনামে কত সম্পত্তি রয়েছে? রাইস মিল কেনার জন্য যে আর্থিক লেনদেন হয়েছে, সে সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন কি না। এবার নথি পেলে তা সামনে রেখে অনুব্রত-কন্যাকে ফের জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা সিবিআইয়ের।
বেকসুর খালাস: মঙ্গলকোটে অশান্তির মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করল বিধাননগরের MP-MLA আদালত। ২০১০ সালে মঙ্গলকোটে অশান্তি পাকানোর অভিযোগ সহ একাধিক ধারায় মামলা হয় অনুব্রত মণ্ডল, কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে। মামলা চলাকালীন একজনে মৃত্যু হয়। আজ আদালতে পেশ করা হলে প্রমাণের অভাবে খালাস হয়ে যান অনুব্রত সহ ১৪ জন।
এর জন্য আসানসোল জেল থেকে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে নিয়ে আসা হয় বিধাননগরে। আসানসোল জেল থেকে বেরোনোর সময় অনুব্রত মণ্ডল বলেন, জেলে কেউ কন্টিনিউ থাকে না। জেল থেকে ছাড়া পায়। নিশ্চয় তিনিও ছাড়া পাবেন। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, দিদি পাশে আছে, এটাই এনাফ। গতকালই নেতাজি ইন্ডোরের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, অনুব্রতকে বীরের সম্মান দিয়ে, জেল থেকে বের করে আনতে হবে। দলনেত্রীর ওই মন্তব্যের পরই আজ জেল থেকে বেরনোর সময় অনুব্রতর গলায় আত্মবিশ্বাসের সুর।