কলকাতা : মাসখানেক ধরে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে লাগাতার বাণ নিক্ষেপ করছিলেন । একেবারে চাঁচাছোলা ভাষায় রাজ্য সভাপতি পদে সুকান্ত মজুমদারের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছিলেন।দলের অন্দরে দুর্নীতির অভিযোগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ধারালো পোস্ট করছিলেন নিয়মিত। এরই মধ্যে শাহ-নাড্ডা রাজ্য সফরে এসে কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরাকে (Anupam Hazra) । এরপর ফের একবার সোশ্যাল মিডিয়াকেই হাতিয়ার করলেন অনুপম। ২ দিনের জন্য হিমালয়ে যাচ্ছি, ফিরে যা বলার বলব, প্রতিক্রিয়া অনুপম হাজরার।
পদ খুইয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দাবি করেছেন অনুপম হাজরা। তাঁর দাবি, 'কিছু শর্ত মানলে আবার সব আগের মতো হয়ে যাবে', অপসারণের ৩ ঘণ্টার মধ্যে এমন বার্তা এসেছে তাঁর কাছে। সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা। কিন্তু এই পোস্ট মারফত কাকে টার্গেট করতে চেয়েছেন অনুপম, তা স্পষ্ট করেননি।
দলের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হতে কোনও রাখঢাক রাখেননি তিনি। নাম করেই আক্রমণ শাণিয়েছেন। তবে এবার কারও নাম নেননি। তবে তাঁর তির দলের অন্দরের কারও দিকেই, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কিছুদিন আগে, বঙ্গের পদ্ম শিবিরের শীর্ষ নেতারা যেদিন ব্রিগেডে গীতাপাঠে অংশ নিয়েছিলেনন, সেদিনও দুর্নীতি ইস্যুতে দলেরই একাংশকে নিশানা করেন অনুপম হাজরা। গীতাপাঠ অনুষ্ঠানে টাকার বিনিময়ে ভিআইপি কার্ড বিলির অভিযোগ উঠে এসেছিল তাঁর পোস্টে।
সাম্প্রতিক অতীতে দলকে কাঠগড়ায় তুলে 'চোরমুক্ত বিজেপি চাই' স্লোগান তোলেন তিনি। বিশ্বভারতীর ফলক বিতর্কে কথা বলেছিলেন। শান্তিনিকেতনে তৃণমূলের মঞ্চেও পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি । শেষ পর্যন্ত বিজেপির জাতীয় স্তরের পদ খোয়াতে হল তাঁকে। এবার অনুপমের পরবর্তী কী হবে ? নানা জল্পনা শোনা যাচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।
দলে কেন পদ খোয়ালেন অনুপম? মুখ খুললেন 'স্পেশাল ফিফটিনে' থাকা দিলীপ
এর মধ্যেই অনুপমের দিকে খোঁচা এসেছে বিরোধীদের তরফে। তৃণমূল নেত্রী শতাব্দী রায় বলছেন, সত্য বলে কোপে পড়লেন। আবার সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর খোঁচা, বিজেপিতে ধাক্কা খেলে তৃণমূলের দরজা খোলা ! তবে বিতর্ক থেকে দূরে থেকে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলছেন, নেতৃত্বের যা ঠিক মনে হয়েছে করেছে।