কলকাতা: শক্তিগড়ে রাজু ঝা খুন নিয়ে কটাক্ষ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুরের। হাওড়া-কাণ্ডে মন্তব্যের পরে রাজু ঝা খুন-কাণ্ডেও মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সরাসরি কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। 


প্রশ্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর:
রাজু ঝা খুনে ফের রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেন, 'প্রকাশ্যে বিজেপি কর্মীকে খুন করা হল। মুখ্যমন্ত্রী চুপ করে বসে আছেন। রাজ্যে একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটছে। এর অর্থ, মুখ্যমন্ত্রী সব দেখেও চুপ আছেন।'


সিট গঠন:
শক্তিগড়ে শ্যুটআউটে রাজু ঝা খুনের তদন্তে ১২ সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের তরফে। পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের সিট গঠন হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করছে ফরেন্সিক দল।


এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। রাজু ঝা-এর বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ এবং অধুনা তৃণমূল বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়। তা নিয়ে পাল্টা তোপ দেগেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।  


বাবুল সুপ্রিয় ট্যুইট:
রাজু ঝার বিজেপি যোগ নিয়ে গতকালই খোঁচা দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। ট্যুইটে তিনি লেখেন, 'রাজু ঝাকে নিয়েই বিজেপিতে চূড়ান্ত মত বিরোধ হয়। আজ যারা বড় বড় কথা বলছেন, তাঁদের সঙ্গেই চূড়ান্ত মতবিরোধ হয়। রাজুকে ঘটা করে বিজেপিতে যোগদান করান দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়। রাজুর হোটেল বড় বড় বিজেপি নেতারা ব্যবহার করতেন। এই বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কেন সিবিআই-ইডি তদন্ত হবে না? এই দুষ্টু লোকগুলো সিবিআই-ইডির লিস্ট থেকে কী করে ভ্যানিশ হয়ে যাচ্ছে?', ট্যুইট করে প্রশ্ন করেছিলেন পর্যটনমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। দিলীপ ঘোষের সঙ্গেই বাবুলের নিশানায় বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুইও। 


পাল্টা দিলীপ:
বাবুলের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'আমার হাত ধরে রাজু ঝা বিজেপিতে যোগ দেননি। রাজুর মতো অনেক বড় নেতাই বিজেপিতে এসেছিলেন। কে দোষী, সেটা আদালত ঠিক করবে। রাজুর হোটেল ভাড়া নিয়ে বিজেপি বৈঠক করেছে।' আবার এই খুনের ঘটনায় তৃণমূলের দিকেই সরাসরি আঙুল তুলেছেন বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন, 'অনেকে বলছেন রাজুর কাছে অনেক গোপন তথ্য ছিল। সেই গোপন তথ্য প্রকাশ্যে এলে তৃণমূলের বড় নেতাদের অসুবিধা হত।'


আরও পড়ুন: 'মায়ের নামে রেজিস্ট্রেশন,' শক্তিগড়ে শ্যুটআউটে ব্যবহৃত গাড়ির প্রথম মালিকের হদিশ